বিএনপি যে সন্ত্রাসী সংগঠন তা আবারও আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ টেলিভিশনের রংপুর কেন্দ্র প্রকল্পস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোপূর্বে বিএনপির কয়েকজন সদস্য যখন কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন, তখন কানাডার আদালত তা খারিজ করে দেয়। কয়েকদিন আগেও বিএনপির আরেকজন সদস্য সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন, সেক্ষেত্রে কানাডার ফেডারেল আদালত আবার একই রায় দিয়েছে যে, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন; সুতরাং, তাদের আর রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া যাবে না- এই মর্মে তার আবেদন তারা খারিজ করে দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির লজ্জা থাকা উচিত। কানাডার আদালত পঞ্চমবারের মতো তাদেরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিল এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও যখন বিএনপি সদস্যরা রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে আবেদন করেছেন, অনেক জায়গাতেই প্রায় অনুরূপ মন্তব্য করা হয়েছে যে, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।’
বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান ও গয়েশ্বর রায়কে সরকারের পক্ষ থেকে উন্নত খাবার ও সেবা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি আওয়ামী লীগের শিষ্টাচার, এবং ১৫ বছর তাদের আদর করা হয়নি, সেটি সঠিক নয়।
‘এটি আমাদের দলের শিষ্টাচার যা আমাদের আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিখিয়েছেন। এ শিষ্টাচার বিএনপির মধ্যে নাই, এর মর্মও তারা বোঝে না।’
রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষের মধ্যে যে ব্যাপক সাড়া, উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছি, এতে এটিই প্রমাণিত হয় যে, রংপুর জেলা এবং মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে বুধবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর জনসভা প্রকৃতপক্ষে জনসমুদ্রে রূপান্তরিত হবে। যদিও আমরা মাঠে জনসভার স্থান দিয়েছি কিন্তু প্রকৃতপক্ষে পুরো রংপুর শহরই জনসভাস্থলে রূপান্তরিত হবে।’
বিটিভি রংপুর কেন্দ্র প্রকল্প নিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার প্রত্যেকটি বিভাগে টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সে জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, একনেকে অনুমোদন হয়েছে। রংপুর বিভাগেও বাংলাদেশ টেলিভিশনের একটি পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্র স্থাপনের কাজে হাত দেয়া হয়েছে। সেটি হলে এখানকার শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী সবাই সংস্কৃতির নানা বিষয়ে তাদের দক্ষতা বাংলাদেশময় তুলে ধরার সুযোগ পাবে এবং স্থানীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতিকেও তুলে ধরার সুযোগ পাবে।’