বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুক্তিপণ না পেয়ে শিশু হত্যা, আটক ৪

  • প্রতিনিধি, শরীয়তপুর   
  • ১ আগস্ট, ২০২৩ ১৫:৫০

মঙ্গলবার সকালে অপহরণের ১২ ঘন্টা পর অহরণকারীদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কীর্তিনাশা নদীর পাড়ের একটি ডোবা থেকে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শরীয়তপুরে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার সকালে অপহরণের ১২ ঘন্টা পর অহরণকারীদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কীর্তিনাশা নদীর পাড়ের একটি ডোবা থেকে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, অপহরণ ও হত্যাকণ্ডের আসল পরিকল্পনাকারী সিয়ামসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

আটক অন্যরা হলেন পাবনার সিংগাবাজার এলাকার ২০ বছর বয়সী সিয়াম সর্দার, শরীয়তপুরের পালং মডেল থানার ১৮ বছর বয়সী শাকিল গাজী ও আরও দুই শিশু।

নিহত নিবির উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের খিলগাও এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী মনির খানের ছেলে। সে জেলা শহরের শিশু কানন কিন্টারগার্ডেন স্কুলের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, নিবিরের বাবা মালয়েশিয়া প্রবাসী মনির খানের বাড়িতে ভাড়া থাকতো অপহরণ চক্রের মূল হোতা নসিমন চালক সিয়াম। ৩ দিন আগে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য নিবিরকে অপহরণের পরিকল্পনা করে সিয়াম। সোমবার দুপুরে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরে খাওয়া শেষে খেলার কথা বলে বের হয় নিবির। পরিকল্পনা অনুযায়ী চক্রের অন্য সদস্যদের সহায়তায় ওই দিন বিকেলে নিবিরকে অপহরণ করে সিয়াম।

সন্ধ্যা ৭টার দিকে অজ্ঞাত একটি নাম্বার থেকে ফোন করে নিবিরের মায়ের কাছে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা। বিষয়টি পুলিশকে জানালে ওই ফোন নস্বরের সূত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ।

মেবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে রাতেই অপহরণের মূল হোতা নসিমন চালক সিয়ামকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তার দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে কীর্তিনাশা নদীর পাড়ের খান ব্রিকফিল্ডের পাশের একটি ডোবা থেকে মাটি চাপা দেয়া অবস্থায় নিবিরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজনের নাম বলে সিয়াম। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে আরো তিনজনকে আটক করে পুলিশ।

মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ড ও অপহরণের সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পালং মডেল থানায় মামলা করেছে নিহতের পরিবার।

নিহত শিশুর খালু সুমন খান বলেন, ‘ সকালে সিয়ামকে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিবিড়ের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।’

এ ঘটনায় সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে জেলা পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম জানান, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।

কী কারণে শিশুটিকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে- গণমাধ্যম কর্মীদের এমন প্রশ্নে পুলিশ সুপার বলেন, মোবাইলে বিভিন্ন গেমস ও টিভিতে সিরিয়াল দেখায় নতুন প্রজন্মের অনেকেই অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। প্রাথমিকভাবে মুক্তিপণের টাকা আদায়ের জন্যই শিশুটিকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পরবর্তীতে তদন্তের মাধ্যমে পুরো বিষয়টি বেরিয়ে এলে আপনাদের জানানো হবে।

এ বিভাগের আরো খবর