বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাদক কারবারের বিরোধিতা ও তথ্য দেয়ায় খুন হন সাইফুল: র‌্যাব

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১ আগস্ট, ২০২৩ ১৫:০১

র‍্যাবের মুখপাত্র মঈন বলেন, ‘রাজন গত ২৮ জুন গ্রেপ্তার হয়। রাজন ধারণা করেন, তার এই গ্রেপ্তারের পেছনে সাইফুলের হাত ছিল। এ ছাড়াও গ্রেপ্তার জানে আলম, সুমনের বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হওয়ার পেছনেও সাইফুলের হাত ছিল বলে তারা ধারণা করেন।’

রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে ও চোখ উপড়ে হত্যার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে সোমবার তাদের গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১০ এর একটি দল।

গ্রেপ্তার সাতজন হলেন- হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী রাজন হোসেন, জানে আলম, সুমন ওরফে গর্দা সুমন, লিটন হোসেন, দিপু, সরোয়ার আকন্দ ও সজীব।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য জানান র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

র‍্যাব জানায়, কেরানীগঞ্জের খেজুরবাগ সাতপাখি এলাকায় রোববার রাতে সাইফুল নামে এক পোশাক ব্যবসায়ীকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুর্বৃত্তরা নৃশংসহভাবে কুপিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে। এরপর চোখ উপড়ে ফেলে নির্মমভাবে হত্যা করে তাকে। এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘২৩ বছর বয়সী সাইফুল সাতপাখি রোডে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। সাইফুল ছিল এলাকায় সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদী কণ্ঠ। মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠনে তিনি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতেন।

‘বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী ও মাদক কারবার সম্পর্কে তথ্য দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকেও সহায়তা করতেন। এ কারণে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় মাদক কারবারি ও অন্যান্য অপরাধীরা সাইফুলের ওপর ক্ষিপ্ত হন।’

র‍্যাবের মুখপাত্র বলেন, ‘রাজন গত ২৮ জুন গ্রেপ্তার হয়। রাজন ধারণা করেন, তার এই গ্রেপ্তারের পেছনে সাইফুলের হাত ছিল। এ ছাড়াও গ্রেপ্তার জানে আলম, সুমনের বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হওয়ার পেছনেও সাইফুলের হাত ছিল বলে তারা ধারণা করেন।

‘রাজন ১৯ জুলাই জামিনে মুক্তি পেয়ে সুমন, জানে আলম ও অন্যান্য সহযোগী নিয়ে সাইফুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজনের নেতৃত্বে জানে আলম, সুমন, লিটন, দিপু, সরোয়ার ও সজীবসহ ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল রাত সাড়ে ১১টার দিকে খেজুরবাগ স্কুল রোডে এসে সাইফুলের পথ আটকে তাকে ক্রিকেট ব্যাট, ব্যাটন, লোহার রড় ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে।’

এক পর্যায়ে সাইফুল মাটিতে পড়ে গেলে রাজন পাশের একটি দোকান থেকে চামচ নিয়ে এসে সাইফুলের চোখ নৃশংসভাবে উপড়ে ফেলে সাইফুলকে রেখে আসামিরা পালিয়ে যান বলে জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

স্থানীয়রা সাইফুলকে রাজধানীর একটি সরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলেন জানান।

র‍্যাব জানায়, রাজন স্থানীয় একটি রিকশা গ্যারেজ পরিচালনা করেন। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, বিস্ফোরক দ্রব্য ও চুরিসহ পাঁচটির বেশি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া গ্রেপ্তার বাকিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর