নির্বাচনের আগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সফল করতে উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছে চীন। এরই অংশ হিসেবে খানিকটা নীরবেই ঢাকা ঘুরে গেছেন চীনের এশিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত দেং সিজুন।
গত রোববার ঢাকা সফরে এসে সরকারের সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে প্রত্যাবাসন নিয়ে দেং সিজুন আলোচনা করেন।
আলোচনায় পরীক্ষামূলক প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ১৭৬ রোহিঙ্গাকে দিয়ে প্রত্যাবাসন শুরু করার বিষয় অগ্রাধিকার পেয়েছে বলে জানিয়েছে কূটনৈতিক সূত্র।
গত সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন চীনের দূত।
চার মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ঢাকায় এটি তার দ্বিতীয় সফর। এবার বাংলাদেশে আসার আগে চীনের বিশেষ দূত মিয়ানমার সফর করেছেন। মিয়ানমারও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাজি-এমন বার্তা বাংলাদেশকে দিয়েছেন চীনের দূত। মঙ্গলবার তার ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, চীন দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে সফলতা দেখাতে চায়। ইরান ও সৌদি আরবকে মিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে চীনের কূটনৈতিক সফলতা এ অঞ্চলেও দেখাতে চায়। বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক ঘিরে দক্ষিণ এশিয়ার ওপর পশ্চিমা যে চাপ বাড়ছে, তাতে এখানকার বন্ধু রাষ্ট্রগুলো কূটনীতিতে চীনের সফলতা দেখতে চায়। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সেই সফলতা এনে দিতে পারে।
এদিকে বাংলাদেশও দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চায়। বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনের আগে যদি প্রত্যাবাসনের পাইলট প্রকল্প সফল করা যায়, তাহলে বর্তমান ক্ষমতাসীনরা রাজনীতির মাঠে এগিয়ে থাকবে।
এর আগে এপ্রিলের শুরুতে চীনের বিশেষ দূতের সঙ্গে বৈঠকের পর রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরতে শুরু করবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল তার আশা পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন।