ঢাকার ধামরাইয়ে পুকু্রের পাশে ফেলে রাখা বস্তার ভিতর থেকে উদ্ধার হওয়া এক যুবকের হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থেকে অভিযুক্ত পাঁচ জনকে আটক করছেে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া বাজার এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়করে পাশ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথইে মৃত্যু হয় তার।
আটককৃতরা হলেন- আশুলিয়ার ইউনিক এলাকার ৫৫ বছর বয়সী হাজী আলম ভূইয়া, ৪০ বছর বয়সী সেলিম ভূইয়া, ২৪ বছর বয়সী আজহার ভূইয়া, ৩৫ বছর বয়সী ফারুক ভূইয়া ও ৩০ বছর বয়সী ফরহাদ ভূইয়া।
২২ বছর বয়সী নিহত রবিউল আশুলিয়ার গাজীরচট চারালপাড়া এলাকার মো. আলতাফের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার ইউনিক বাসস্ট্যান্ডে আলম ভূইয়ার মালিকানাধীন ভবনের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তার পাশে গাড়ি থেকে হঠাৎ পুকুরের পাশে একটি বস্তা ফেলা হয়। এসময় বস্তাটি নড়াচড়া করতে দেখে বস্তার মুখ খুলে রক্তাক্ত অবস্থায় রবিউলকে উদ্ধার করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের উদ্দেশে পাঠানো হলে পথেই তার মৃত্যু হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিহতের এক প্রতিবেশী জানান, সম্প্রতি আশুলিয়ার আলম ভূইয়ার দুই ছেলেকে কুপিয়ে আহত করে একাধিক মামলার আসামি সোহাগ ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় আলম ভূইয়ার পরিবার বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এই মামলায় দুই নম্বর আসামি ছিলেন নিহত রবিউল। ওই ঘটনার জের ধরেই রবিউলকে কারখানা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
ধামরাই থানার এসআই পান্নু মিয়া বলেন, ‘আমরা হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহে উদ্ধার করেছি। মরদেহে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার দুই পা ভেঙে ফেলা হয়েছে, এক পা ও হাতের রগ কেটে ফেলা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’
এদিকে আশুলিয়া থানার এসআই এমদাদুল হক বলেন, ‘এঘটনায় কয়েকজনকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।’