বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

একটু আন্দোলন দেখলেই ভয় পাবেন না: প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩১ জুলাই, ২০২৩ ১৪:০৭

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২১০০ সালের বাংলাদেশ, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০, সেটাও আমরা পরিকল্পনা তৈরি করে দিয়েছি। সময়ের সাথে এই সমস্ত পরিকল্পনা বা প্রেক্ষিত পরিকল্পনা সময়ের সাথে সাথে এটাকে পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন, সংশোধন তো করতেই হবে, কিন্তু তারই ভিত্তিতে সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে আমরা যদি এগোতে পারি, তাহলে এই দেশ আরও কখনও পিছিয়ে যাবে না। সেটাই আমি বলতে পারি। কাজেই একটু আন্দোলন-সংগ্রাম দেখলে ভয় পাবেন না। ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’

বিরোধীদের আন্দোলন দেখলেই ভয় না পেতে জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সোমবার বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, ‘২১০০ সালের বাংলাদেশ, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০, সেটাও আমরা পরিকল্পনা তৈরি করে দিয়েছি। সময়ের সাথে এই সমস্ত পরিকল্পনা বা প্রেক্ষিত পরিকল্পনা সময়ের সাথে সাথে এটাকে পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন, সংশোধন তো করতেই হবে, কিন্তু তারই ভিত্তিতে সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে আমরা যদি এগোতে পারি, তাহলে এই দেশ আরও কখনও পিছিয়ে যাবে না। সেটাই আমি বলতে পারি।

‘কাজেই একটু আন্দোলন-সংগ্রাম দেখলে ভয় পাবেন না। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। জনগণ যতক্ষণ আমাদের সাথে আছে…যারা আন্দোলন করতে চায়, জ্বালাও-পোড়াও করতে চায়, জ্বালাও-পোড়াও করাটা আমরা সহ্য করব না। সেটা কখনোই মেনে নেয়া যাবে না, তবে আন্দোলন বা সংগ্রাম যাই করুক, তাতে আমাদের আপত্তি নেই, কিন্তু আমাদের দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে আমরা ছিনিমিনি খেলতে দেব না।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা কথা মনে রাখবেন যে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যারা আমাদের সমর্থন করেনি, তাদের মনের বৈরিতা কিন্তু এখনও কেটে যায়নি। সেটা অতিক্রম করেও কিন্তু আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এটাই আমি বলতে পারি।

‘এ জন্য মুখ গোমড়া করে থাকা আমি দেখতে চাই না। সবাইকে হাসি-খুশি দেখতে চাই।’

এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উন্নয়ন দর্শনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা চেয়েছিলেন বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক মুক্তি; বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়। বাঙালি জাতি বিশ্ব দরবারে যেন মাথা উঁচু করে চলতে পারে।

`শোষণ, বঞ্চনা, নির্যাতন, নিপীড়নই ছিল এই বাঙালি জাতির ভাগ্যে। সেই ভাগ্য পরিবর্তন করবার জন্যই তিনি জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন। ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। একটা রিজার্ভ মানি বলে কিছু ছিল না।’

বঙ্গবন্ধু প্রশাসনকে গণমুখী করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) বলেছিলেন যে, তিনি এ দেশের জনগণের সেবক। আমিও তাই মনে করি যে, প্রধানমন্ত্রিত্ব বড় কথা না, আমি জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। কাজেই জনগণের সেবক হিসেবে আমি নিজেকে ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমি যখন সরকার গঠন করি, ৪০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যঘাটতি বাংলাদেশে। বিদ্যুৎ মাত্র ১৬০০ মেগাওয়াট। প্রতিনিয়ত দুর্ভিক্ষ এবং মঙ্গা লেগেই থাকত।

‘এই দুর্ভিক্ষে আমরা ছুটে যেতাম দলের পক্ষ থেকে। লঙ্গরখানা খুলতাম, মানুষের পাশে দাঁড়াতাম। প্রত্যন্ত অঞ্চলে অঞ্চলে আমি গিয়েছি। দেখেছি মানুষের হাহাকার; দেখেছি মানুষের কষ্ট। কাজেই যখন সুযোগ পেয়েছি সেবা করার, তখনই উদ্যোগ নিয়েছি বিভিন্নভাবে যে, মানুষের সেবাটা মানুষের দোড়গোড়ায় কীভাবে পৌঁছে দেব।’

এ বিভাগের আরো খবর