রাজধানীর প্রবেশমুখে বিএনপির শনিবারের অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে সংঘর্ষের সময় সাতটিতে অগ্নিসংযোগ এবং ২৪টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠন।
এসব গাড়ির ক্ষতিপূরণ আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে আদায় করে দেয়ার দাবি জানায় তারা।
রোববার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সামদানী খন্দকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা, মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান ও সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলীর পক্ষ থেকে যৌথভাবে এ বিবৃতি দেয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শনিবার বিএনপির ডাকা অবস্থান কর্মসূচির নামে সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে ঢাকা শহরে চলাচলকারী বিভিন্ন পরিবহনের সাতটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। পাশাপাশি তারা অন্তত ২৪টি গাড়ি ভাঙচুর করে।’
২০১৪-২০১৫ সালের ঘটনা উল্লেখ করে বলা হয়, ‘২০১৪-২০১৫ সালেও বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে সারা দেশে পাঁচ হাজার গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং ভাঙচুর করে। ওই সময় ৯২ শ্রমিককে হত্যা করা হয়। অতীতের ন্যায় আবারও আন্দোলন কর্মসূচির নামে সহিংসতা শুরু করেছে তারা। আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও কোনোভাবেই মানা যায় না। এ ধরনের ধ্বংসাত্মক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলোর ক্ষতিপূরণ আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে আদায় করে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’