নরসিংদীতে একটি কারখানা থেকে এক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ, তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থলেও মিলেছে প্রচুর রক্তের দাগ।
পুলিশ জানিয়েছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে এই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকালের এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।
সদর উপজেলার নীলা ডাইং প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিসিং মিলসে নিহত ৩৫ বছর বয়সী শ্রমিকের নাম নাজমুল ইসলাম। তিনি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার নেহালিয়াকান্দা হাসান শেখের বাড়ির আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন মাধবদী থানার পুলিশ পরিদর্শক (আপারেশন্স) জসিম উদ্দিন। তিনি জানান, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরাসরি জড়িত দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
আটক দুজন হলেন নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পোড়াতলি গ্রামের লুৎফর রহমানের ২৫ বছর বয়সী ছেলে আবুল কালাম ও কিশোরগঞ্জ বাজিতপুর উপজেলার বাইন নগর গ্রামের কামরুজ্জামানের ২৪ বছর বয়সী ছেলে জহিরুল হক। তারা দুইজনেই মিলের শ্রমিক।
পুলিশ জানায়, রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলা মাধবদীর ভগীরথপুড়ে অবস্থিত ওই কারখানার চারতলার একটি কক্ষ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এর আগে রোববার ভোর পৌনে চারটার দিকে তাকে হত্যা করার খবর পায় পুলিশ।
নরসিংদী সদর থানার ওসি (অপারেশন্স) মো. জসিম উদ্দিন জানান, শ্রমিক নিহতের খবর পেয়ে মিলে যায় পুলিশ। নিহতের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। ঘটনাস্থলে প্রচুর রক্ত দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ঘাতকরা মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া না পর্যন্ত মাথায় আঘাত করেছে।
এ ঘটনার পর নীলা ডাইং প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিসিং মিলের প্রধান প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয় মিল কর্তৃপক্ষ। এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে মিল কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য শ্রমিকরা কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, স্থানীয় মুক্তাদিন ড্রইং-এর মালিক জাকির হোসেনের ছোট ভাই শফিকুল্লাহর মালিকানায় ডাইং প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিসিং মিলস পরিচালিত হয়ে আসছে। নিহত নাজমুল ইসলাম মিলের চতুর্থ তলায় ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।