বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাজধানীর প্রবেশমুখে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে ১১ মামলা, গ্রেপ্তার ১৪৯

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩০ জুলাই, ২০২৩ ১৪:৪২

ডিসি মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘ডিএমপি অনুমতি না দেয়া সত্ত্বেও বিএনপি বেআইনি সমাবেশ করে। সেখানে অগ্নিসংযোগ, বাস, পুলিশের গাড়ি ও এপিসি ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়া হয়।’

রাজধানীর প্রবেশমুখে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের জেরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এ পর্যন্ত ১৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবারের বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে ওই সংঘর্ষ হয়। এরপর রোববার দুপুর ২টা পর্যন্ত পুলিশ বাদী হয়ে ১১টি মামলা হওয়ার খবর জানা যায়। এ ছাড়া তিনটি থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মামলাগুলোতে ৪৬৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া সংখ্যা নির্দিষ্ট না করে ‘অজ্ঞাতনামা অনেকে’ লেখা হয়েছে।

রোববার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।

তিনি বলেন, ‘ডিএমপি অনুমতি না দেয়া সত্ত্বেও বিএনপি বেআইনি সমাবেশ করে। সেখানে অগ্নিসংযোগ, বাস, পুলিশের গাড়ি ও এপিসি ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়া হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এসব অপরাধে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সাতটি থানায় ১১টি মামলা করা হয়। ডিবি, ক্রাইম ডিভিশনসহ অন্যান্য বিভাগের টিম আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে এবং পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।’

এ ছাড়া দারুস সালাম, ডেমরা ও উত্তরা পশ্চিম থানায় বেশ কয়েকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি ফারুক হোসেন বলেন, ‘বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমানউল্লাহ আমানকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হয়। তাদের কোনো মামলায় আসামি করা হয়েছে কি না তা মামলার এজাহার পর্যালোচনা করলে জানা যাবে।’

বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের সময় শনিবার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরকে সশস্ত্র অবস্থায় এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না, জানতে চাইলে ডিসি ফারুক হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ছিল, কিন্তু পুলিশের অনুমতি না থাকায় তারা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়। বিএনপির নেতা-কর্মীরা যখন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় তখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাদের অবস্থানে ছিল। এখানে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কার্যক্রমের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর