রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারের আশুলিয়ায় বাস ও অটোরিকশায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএনপির দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে।
মামলায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কাউকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেনি পুলিশ।
মামলা দুটির তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরাফাত উদ্দিন ও নূর আলম মিঞা রোববার সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার আশুলিয়ার নিরিবিলি এলাকায় বেশ কয়েকটি বাসে ভাঙচুরের পাশাপাশি বিকাশ পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করে তা পুড়িয়ে দেয়া হয়। একই দিন আশুলিয়ার রসায়ন মোড় এলাকায় একটি অটোরিকশায়ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
নিরিবিলি এলাকায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিকাশ পরিবহনের চালক আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ৩২ জনের নামে মামলা করেন। এ মামলায় আসামি হিসেবে অজ্ঞাতনামা রয়েছেন আরও অনেকে।
অপরদিকে আশুলিয়া বাজার এলাকায় অটোরিকশায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। এ মামলায় আসামি করা হয় ৩০ জনকে। অজ্ঞাত আসামি রয়েছে আরও ১০০ থেকে ১৫০ জন।
আশুলিয়া থানার ওসি এস এম কামরুজ্জামান জানান, নিরিবিলি এলাকায় বাস ও আশুলিয়া বাজার এলাকায় অটোরিকশায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আলাদা দুটি মামলা করা হয়েছে। দুই মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও অনেককে।
পুড়ে যাওয়া বিকাশ পরিবহন বাসের চালক আনোয়ার শনিবার জানিয়েছিলেন, বিকাশ পরিবহনের গাড়ি নবীনগর থেকে ঢাকার আজিমপুর পর্যন্ত চলাচল করে। বিকেলে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মির্জানগর ইউলুপ থেকে বাস ঘুরিয়ে নবীনগরে যাচ্ছিলেন তিনি ও তার বাসের হেল্পার। ওই সময় হঠাৎ পেছন থেকে ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি মিছিল সড়কে এসে বাসে ভাঙচুর শুরু করে। তাদের অনেকের হাতে চাপাতি ও লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র ছিল।
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘তিন থেকে চারটি বাসে এলোপাতাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মুহূর্তেই আমার বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় তারা, তবে তারা বিএনপি না আওয়ামী লীগের, সেটা জানতে পারিনি।’