বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলিগকে ধর্মীয় পর্যটন ঘোষণা এবং কাকরাইলে তাবলিগের মারকাজ মসজিদে সরকারি প্রশাসক নিয়োগের দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান রোববার এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে ধর্ম মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ও কাকরাইলে তাবলীগের মারকাজ মসজিদের প্রধানকে বিবাদী করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, সারা বিশ্বে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় মহাসমাবেশ হলো পবিত্র হজ। সারা বিশ্বে মুসলমানদের জন্য হজের পর দ্বিতীয় মহাসন্মেলন হলো বিশ্ব ইজতেমা। এ ছাড়া সারা বছর তাবলীগের বিভিন্ন কার্যক্রম চলে।
এতে বলা হয়, বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলিগের কার্যক্রমে ব্যাপক সংখ্যায় বিদেশি মুসলিম পর্যটকদের আকৃষ্ট করে বাংলাদেশে আনতে পারলে প্রতি বছর শত শত কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার পাশাপাশি সামষ্টিক অর্থনীতিতে ব্যাপক উন্নয়ন করতে পারবে বাংলাদেশ, কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যর্থতা, উপমহাদেশীয় ষড়যন্ত্র ও কিছু ধর্মীয় নেতাদের পারস্পরিক হিংসাত্মক দ্বন্দ্বের কারণে বাংলাদেশে তাবলিগের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ফলে বিশ্ব ইজতেমা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এতে করে সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা যাচ্ছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোর ব্যর্থতার কারণে বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনাময় ধর্মীয় পর্যটনের অর্থনৈতিক সুযোগকে কাজে লাগাতে পারছে না। ফলে বাংলাদেশ প্রতি বছর মুসলিম বিশ্বে শক্তিশালী প্রভাব অর্জন করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। ধর্মীয় পর্যটন বাংলাদেশের জন্য ব্যাপক সম্ভাবনাময় খাত। বাংলাদেশ যদি প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে কমপক্ষে ১০ লাখ বিদেশি মুসলিম পর্যটক দেশে আনতে পারে, তাহলে বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রেই অনেক এগিয়ে যাবে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে অবশ্যই বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলিগকে ধর্মীয় পর্যটন ঘোষণা করতে হবে এবং সব ষড়যন্ত্র, রাজনীতি ও গ্রুপিং থেকে বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলিগকে রক্ষা করতে হবে। অবিলম্বে কাকরাইলে তাবলিগের মারকাজ মসজিদে সরকারি প্রশাসক নিয়োগ করতে হবে। অন্যথায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট করা হবে।