বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ আজ, সংঘর্ষ এড়াতে বিএনপি মাঠে সোমবার

  •    
  • ৩০ জুলাই, ২০২৩ ০০:২২

‘অবস্থান কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীন দল ও পুলিশের হামলা-গ্রেপ্তারের’ প্রতিবাদে বিএনপি রোববারই জনসমাবেশের ঘোষণা দিতে চেয়েছিল বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব। তিনি বলেছেন, কোনো ধরনের সংঘাত এড়াতে তারা কর্মসূচি একদিন পিছিয়ে সোমবার ঘোষণা করেছেন।

সারাদেশে আজ রোববার প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও অগ্নি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।

অপরদিকে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে সোমবার সারা দেশে মহানগর ও জেলা পর্যায়ে জনসমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। মুখোমুখি সংঘাত এড়াতে একদিন পিছিয়ে এই কর্মসূচি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের জরুরি যৌথ সভা থেকে এ ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদে রোববার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দেশজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখার প্রতিটি থানায় বিক্ষোভ করা হবে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা (আওয়ামী লীগ) যেটা আশঙ্কা করেছি সেটাই হয়েছে। বিএনপি আবারও অগ্নি-সন্ত্রাস শুরু করেছে। ২০১৩, ২০১৪ ২০১৫ সালের পুনরাবৃত্তি শুরু হয়ে গেছে।

‘গত দুদিনও তারা এটাই করতে চেয়েছিল। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চুপ থাকতে পারে না।’

এদিকে একদিন পিছিয়ে সোমবার দেশের সব মহানগর ও জেলা সদরে জনসমাবেশ করবে বিএনপি। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ পথগুলোতে অংশ কর্মসূচি পালনকালে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা রোববার কর্মসূচির ঘোষণা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু জানতে পেরেছি যে ওইদিন আওয়ামী লীগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তাদের মতো একই দিনে কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে সংঘাত চাই না আমরা। সে কারণে পরদিন সোমবার কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।’

নগরীর প্রবেশ পথগুলোতে শনিবার বেলা ১১ থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ও আটকের ঘটনা ঘটে।

অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত দলটির ১৪৯ জনকে আটক করা হয়েছে।

এছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় একাধিক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।

এর আগে গয়েশ্বরের নেতৃত্বে ধোলাইখাল এলাকায় অবস্থান নেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। বেলা পৌনে ১২টার দিকে সেখানে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ওই সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে হেফাজতে নেয়ার কথা জানায় পুলিশ।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতাকে পুলিশ সদস্যরা ধরে নেয়ার সময় তার কানের পাশ থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। পরে অবশ্য আপ্যায়ন করে তাকে ছেড়ে দেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।

এ ছাড়া ঢাকা মহানগরের ভেতরে ও আশেপাশে দফায় দফায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় কয়েক স্থানে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।

এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘বিএনপি বিগত ২০১৪-১৫ সালে রাজধানী ঢাকাকে অবরুদ্ধ করে অগ্নি-সন্ত্রাস করেছিল। আজকের (শনিবার) সহিংসতার পর প্রশ্ন জেগেছে- বিএনপি আবারও সেই অগ্নি-সন্ত্রাসে ফিরে যাচ্ছে?’

তবে নিজেরা আগুন লাগিয়ে তা বিএনপির কাঁধে চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, ‘পত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সুস্পষ্ট প্রমাণ দিয়ে খবর বেরিয়েছে যে, পুলিশের সামনেই এসব ঘটনা ঘটিয়ে ভিডিও করে অপরাধীরা নির্বিঘ্নে চলে গেছে। কারা এটা করতে পারে তা অনুমানের জন্য বেশি বুদ্ধিমান হওয়ার প্রয়োজন নেই। নিজেরা অপরাধ করে বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দিচ্ছি।’

এ বিভাগের আরো খবর