বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করে বিএনপিকে দায় দেয়ার অপচেষ্টা হচ্ছে: ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৯ জুলাই, ২০২৩ ২৩:১১

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্র চাই বলেই এতোকিছুর পরও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথেই আছি আমরা। কিন্তু সব কিছুরই একটা সীমা থাকে। আশা করি সরকার সেটা মনে রাখবে।’

রাজধানীতে পরিকল্পিতভাবে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালিয়ে তার দায়ভার বিএনপির ওপর চাপানোর অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে শনিবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘পত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সুস্পষ্ট প্রমাণ দিয়ে খবর বেরিয়েছে যে, পুলিশের সামনেই এসব ঘটনা ঘটিয়ে ভিডিও করে অপরাধীরা নির্বিঘ্নে চলে গেছে। কারা এটা করতে পারে তা অনুমানের জন্য বেশি বুদ্ধিমান হওয়ার প্রয়োজন নেই।

‘নিজেরা অপরাধ করে বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দিচ্ছি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের (শনিবার) শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি বানচাল করতে সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের জনগণের বিরুদ্ধে নামিয়ে রাজধানী ঢাকায় তাণ্ডব চালিয়েছে। তাদের নির্মম আক্রোশে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানসহ অসংখ্য নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। অগণিত নেতা-কর্মীকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘স্বৈরাচারী সরকারের অবৈধ ক্ষমতা জোর করে ধরে রাখার বীভৎস অপপ্রয়াসে বিনা উস্কানিতে প্রতিবাদী জনতার শান্তিপূর্ণ অবস্থানে গুলি, টিয়ারগ্যাস ও সশস্ত্র আক্রমণ দেখে দেশ-বিদেশের জনগণ স্তম্ভিত।’

তিনি বলেন, ‘এসব ঘটনা প্রমাণ করে, ক্ষমতালোভী এই সরকারের হাতে দেশের কোনো নাগরিক নিরাপদ নন। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণকারী এই সরকার আজ জনগণের শুধু ঘৃণা ও ধিক্কার পাওয়ার যোগ্য।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারি ও সরকার দলীয় বাহিনীর বেআইনি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার জবাব দেয়ার ক্ষমতা জনগণের রয়েছে। কিন্তু সেই ক্ষমতা প্রয়োগের ফলে যে অবাঞ্ছিত ও মর্মান্তিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো আমরা তা বরাবরই পরিহার করতে চেয়েছি এবং আজও করেছি। এটা আমাদের দূর্বলতা নয়, জনগণ ও গণতন্ত্রের প্রতি দায়বদ্ধতা।

‘গত ১৪ বছরে আমাদের হাজারও নেতা-কর্মী জীবন দিয়েছেন। গুমের শিকার হয়েছেন শত শত নেতা-কর্মী। নির্যাতিত হয়েছেন কয়েক হাজার। মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছেন লাখো নেতা-কর্মী। গণতন্ত্র চাই বলেই এত কিছুর পরও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথেই আছি আমরা। কিন্তু সব কিছুরই একটা সীমা থাকে। আশা করি সরকার সেটা মনে রাখবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজ (শনিবার) রাজধানীতে যে অত্যাচার-নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে তার প্রতিবাদে আমরা ৩১ জুলাই সোমবার সারাদেশে সব মহানগর ও জেলা সদরে জনসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করছি।

‘রোববারই আমরা প্রতিবাদের দিন হিসেবে পালনের কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি যে ওইদিন সরকারি দল রাজপথে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। আমরা তাই তাদের মতো একই দিনে কর্মসূচি দিয়ে সংকট সৃষ্টি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করবো এই গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে কোনো বাধা সৃষ্টি করা হবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর