বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাজধানীতে বিএনপির ৯০ নেতা-কর্মী আটক, আহত ২০ পুলিশ: ডিএমপি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৯ জুলাই, ২০২৩ ১৫:৫৮

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার ফারুক হোসেন জানান, সংঘর্ষের সময় ২০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

রাজধানীতে পূর্বঘোষিত অবস্থান কর্মসূচিতে সংঘর্ষের সময় বিএনপির ৯০ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি জানান, সংঘর্ষের সময় ২০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

ফারুক হোসেন বলেন, ‘আজকের কর্মসূচির জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বরাবর কোনো আবেদন করেনি। ফলে ডিএমপির পক্ষ থেকে গণমাধ্যম ও বিএনপিকে জানানো হয়, আজকের কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হয়নি। সুতরাং অনুমতি না দেয়ায় আজকের সমাবেশটি ছিল বেআইনি। বিএনপি ঢাকা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করে গাড়িতে আগুন, গাড়ির গতিরোধ, ককটেল নিক্ষেপ ও পুলিশের ওপর অতর্কিতভাবে আক্রমণ চালায়।

‘এ আক্রমণে ডিএমপির ট্রাফিক দক্ষিণের যুগ্ম কমিশনার মেহেদীসহ প্রায় ২০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশের ওপর আক্রমণ ঠেকাতে ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ থেকে নিবারণের জন্য তাদের ওপর রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। তারা পুলিশের ৮ থেকে ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। প্রায় ২০টির মতো গণপরিবহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ওপর বলপ্রয়োগ করা হয়।’

ডিসি ফারুক হোসেন আরও বলেন, এখন পর্যন্ত গ্রেফতার অভিযান ও থানা পুলিশের অভিযানে ৯০ জনকে আটক করা হয়েছে। যারা এসব কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়মিত মামলা হবে।

প্রেক্ষাপট

রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে ঘিরে শনিবার বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ হয়।

মাতুয়াইল

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাতুয়াইলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

ওই সময় তিনটি বাসে আগুন দেয়া হয়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারপাশের এলাকায়। বন্ধ হয়ে যায় মহাসড়কে যান চলাচল।

সংঘর্ষে পুলিশের ছোড়া গুলিতে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি।

গাবতলী

গাবতলীতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি থেকে দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা আমানকে নিয়ে যায় পুলিশ। শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আমানকে পুলিশের ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয়।

পূর্বঘোষিত অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিতে বেলা ১১টার দিকে গাবতলীতে আমান উল্লাহ আমানের নেতৃত্বে জড়ো হন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। ওই সময় পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে যান আমান উল্লাহ আমান। তখন পুলিশের এক কর্মকর্তা আমানকে নেতা-কর্মী নিয়ে সেখান থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে সরে যেতে বলেন। অবস্থান কর্মসূচির অনুমতি নেই বলে জানানো হয় তাকে।

ওই সময় পুলিশের সঙ্গে অন্তত ১০ মিনিট বাগবিতণ্ডা চলে আমান উল্লাহ আমানের। আমান বলেন, ‘আমি চারবারের এমপি ছিলাম। আমি জানি কোন আইনে কী করতে হয়।

‘আমরা আইন মেনেই এখানে অবস্থান নিয়েছি। আমরা কোনো সড়ক অবরোধ করি নাই।’

বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে আমানের পাশে থাকা বিএনপির আট থেকে ১০ নেতা-কর্মীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে আমানকে গাড়িতে করে নিয়ে যেতে চাইলে সড়কে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান তিনি।

ওই সময় পুলিশের এক সদস্য তাকে বলেন, ‘এখানে মিডিয়ার সামনে আপনি অভিনয় করবেন না প্লিজ। আপনি আমাদের গাড়িতে উঠুন।’

পুলিশের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমান কোনো সাড়া না দেয়ায় তাকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা। ওই সময় এক পুলিশ সদস্য বলেন, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

ধোলাইখাল

পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার গয়েশ্বরের নেতৃত্বে ধোলাইখাল এলাকায় অবস্থান নেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। বেলা পৌনে ১২টার দিকে সেখানে সংঘর্ষ বেধে যায়।

ওই সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে হেফাজতে নেয়ার কথা জানায় পুলিশ।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতাকে পুলিশ সদস্যরা ধরে নেয়ার সময় তার কানের পাশ থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়।

পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) জাফর হোসেন ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন আমরা তাকে (গয়েশ্বর) হেফাজতে নিয়েছি।’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে হেফাজতে নেয়ার পর ছেড়ে দেয়ার কথা জানায় ডিএমপি ডিবি।

রাজধানী মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয় থেকে গাড়িতে করে গয়েশ্বরকে বাসায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বলে জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।

তিনি জানান, বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বাসায় পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে গয়েশ্বরকে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর