জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানকে দেখে এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি প্রতিনিধি দল।
সরকারপ্রধানের সহকারী একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি হাসপাতালে যায়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তার সহকারী একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানকে দেখতে যান। এ সময় বিএনপি নেতাকে প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো দুপুরের খাবার, বিভিন্ন প্রকার মৌসুমি ফল ও জুস এক বুকেট তুলে দেন এপিএস-২।
“গাজী হাফিজুর রহমান আমান উল্লাহ আমানকে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার জন্য এ সকল খাবার, ফল ও জুস পাঠিয়েছেন এবং আপনার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর জানতে চেয়েছেন। তিনি আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।’”
লিকুকে উদ্ধৃত করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘চিকিৎসার জন্য দেশের ভেতরে অন্য যেকোনো হাসপাতালে জনাব আমান উল্লাহ আমান যেতে চাইলে তারও সুব্যবস্থা করে দেবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনাব আমান উল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর এ সকল উপহার গ্রহণ করেন এবং মানবতা ও রাজনৈতিক শিষ্টাচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।’
প্রেক্ষাপট
রাজধানীর গাবতলীতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি থেকে দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা আমানকে নিয়ে যায় পুলিশ। শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আমানকে পুলিশের ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয়।
পূর্বঘোষিত অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিতে বেলা ১১টার দিকে গাবতলীতে আমান উল্লাহ আমানের নেতৃত্বে জড়ো হন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। ওই সময় পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে যান আমান উল্লাহ আমান। তখন পুলিশের এক কর্মকর্তা আমানকে নেতা-কর্মী নিয়ে সেখান থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে সরে যেতে বলেন। অবস্থান কর্মসূচির অনুমতি নেই বলে জানানো হয় তাকে।
ওই সময় পুলিশের সঙ্গে অন্তত ১০ মিনিট বাগবিতণ্ডা চলে আমান উল্লাহ আমানের। আমান বলেন, ‘আমি চারবারের এমপি ছিলাম। আমি জানি কোন আইনে কী করতে হয়।
‘আমরা আইন মেনেই এখানে অবস্থান নিয়েছি। আমরা কোনো সড়ক অবরোধ করি নাই।’
বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে আমানের পাশে থাকা বিএনপির আট থেকে ১০ নেতা-কর্মীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে আমানকে গাড়িতে করে নিয়ে যেতে চাইলে সড়কে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান তিনি।
ওই সময় পুলিশের এক সদস্য তাকে বলেন, ‘এখানে মিডিয়ার সামনে আপনি অভিনয় করবেন না প্লিজ। আপনি আমাদের গাড়িতে উঠুন।’
পুলিশের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমান কোনো সাড়া না দেয়ায় তাকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা। ওই সময় এক পুলিশ সদস্য বলেন, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।