রাজধানীর গাবতলীতে সংঘর্ষের পর পুরো এলাকায় শোডাউন করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।
কিছুক্ষণ পরপরই ছোট ছোট মিছিল নিয়ে গাবতলীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন তারা। পাশাপাশি রাস্তায় একাধিক মঞ্চ বানিয়ে অবস্থান নেন দলটির বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী।
বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়, ওই সময় বিএনপির কাউকে দেখা যায়নি।
দুপুর সোয়া একটা পর্যন্ত আমিনবাজার থেকে গাবতলী এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
আমিনবাজারের ফুট ওভারব্রিজ সংলগ্ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ও সাভারের এমপি এনামুর রহমানসহ স্থানীয় নেতারা অবস্থান করেন। তাদের অনুসারী নেতা-কর্মীরা রাস্তার পাশে অবস্থান করছিলেন সে সময়।
এনামুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা নিজেরাই অবস্থান করছি। এখানে কেউ যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করতে না পারে, সে জন্য নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মাঠে অবস্থান করছি আমরা।’
ফুটওভার ব্রিজে অবস্থান নিয়ে পুরো এলাকা পর্যবেক্ষণ করছিলেন ঢাকা জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি জানান, পুরো এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত আমিনবাজার এলাকায় কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। বিএনপির নেতা-কর্মীদের এ এলাকায় দেখা যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে গাবতলীর খালেক কাউন্টারের সামনে আমান উল্লাহ আমানের নেতৃত্বে বিএনপির কয়েক শ নেতা-কর্মী জড়ো হয়ে অবস্থান নিতে চাইলে আওয়ামী লীগের লোকজনের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কি হয়।
ওই সময় এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর চড়াও হলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সেখান থেকে চলে যান। ওই সময় আমান উল্লাহ আমান রাস্তায় শুয়ে পড়ে প্রতিবাদ করলে পুলিশ তাকে নিয়ে যায়। আমান বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।