রাজধানীর প্রবেশমুখ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ডে জড়ো হচ্ছেন যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। অপরদিকে কাঁচপুর সেতু সংলগ্ন মহাসড়কের শিমরাইল অংশে বিএনপির লোকজন আসতে শুরু করেছেন।
এদিকে জ্যাকেট-হেলমেট পরে প্রস্তুতি নিয়ে মহাসড়কের এ দুটি অংশে অবস্থান নিয়েছেন বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য।
এ পরিস্থিতিতে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাসড়ক থমথমে হয়ে গেছে। কমে গেছে যানবাহন চলাচল। সড়কের পাশের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘জেলা ও মহানগরের নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। সাইনবোর্ড ও কাঁচপুরে শান্তির সমাবেশ শুরুর প্রস্তুতি চলছে।’
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘বেলা ১১টায় কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকার প্রবেশমুখ শিমরাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির কর্মীরা অবস্থান শুরু করব।’ এরই মধ্যে নেতা-কর্মীরা জড়ো হচ্ছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে দুই দলের কর্মসূচি এবং পুলিশের অবস্থান ঘিরে যানবাহন চালক-শ্রমিক, যাত্রী, ব্যবসায়ী, স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কা দেখা গেছে। সাইনবোর্ড এলাকার দোকানি মহিউদ্দিন বলেন, ‘অনেক পুলিশ এখানে আসছে। শুনলাম সমাবেশ হবে। তাই দোকান খুলিনি। আতঙ্ক তো আছেই।’
সিরাজ নামের এক যাত্রী বলেন, ‘কাজে যেতে বাসা থেকে বের হয়েছি। ভয় লাগছে। রাস্তা ফাঁকা।’
অনাবিল বাসচালক মানিক মিয়া বলেন, ‘কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই যাত্রী নিয়ে বাস সাইনবোর্ড পার করার ইচ্ছে রয়েছে। তবে পুলিশ অনেক। বিএনপি ও যুবলীগের লোকজন জড়ো হচ্ছে।’
রাজধানীর প্রবেশমুখে বিএনপির অবস্থান এবং যুবলীগের সমাবেশের ঘোষণার পর শুক্রবার রাত থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সতর্ক অবস্থান নেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
শিমরাইল ও সাইনবোর্ড ছাড়াও মধ্যবর্তী স্থান মৌচাক এলাকায় সাঁজোয়া যান, জলকামান, এপিসি ভ্যানসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কাঁচপুর সেতুর পশ্চিম পাড়েও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাউলাউ মারমা বলেন, ‘কোথাও কেউ যেন বিশৃঙ্খলা, ভাঙচুর, নাশকতা, মহাসড়কে যান চলাচলে বাধাসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটাতে না পারে এ জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাইনবোর্ড, শিমরাইল, কাঁচপুর ছাড়াও আড়াইহাজার এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।’