বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাদ্রাসা কক্ষে শিশুকে ধর্ষণ শেষে হত্যা, ঘাতকের অপহরণ নাটক

  • প্রতিনিধি, কক্সবাজার   
  • ২৯ জুলাই, ২০২৩ ০০:০৬

হ্নীলা দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপালের ছেলে ফারহান ধর্ষণ ও হত্যা শেষে শিশু ফারিহার মরদেহ মাদ্রাসা ভবনের পেছনের নালায় ফেলে দেয়। পরবর্তীতে শিশুটি অপহরণের শিকার হয়েছে বলে প্রচার চালায়। পাশাপাশি ভিন্ন ভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে সে।

ফারিহা খাতুন নামে এক শিশু শিক্ষার্থীকে খাবারের লোভ দেখিয়ে মাদ্রাসার একটি কক্ষে নিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে মাদ্রাসার আরেক শিক্ষার্থী এরফান। একপর্যায়ে রক্তক্ষরণ শুরু হলে শ্বাসরোধে হত্যার করে শিশুটির দূরসম্পর্কের এই মামা।

ধর্ষণ ও হত্যা শেষে ফারিহার মরদেহ মাদ্রাসা ভবনের পেছনের একটি নালায় ফেলে দেয় এরফান। পরবর্তীতে ফারিহা অপহরণের শিকার হয়েছে বলে প্রচার চালায়। পাশাপাশি ভিন্ন ভিন্ন মোবাইল ফোন নম্বর থেকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে সে।

কক্সবাজারের টেকনাফে মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থী ফারিহা জান্নাত বৃহস্পতিবার নিখোঁজ হওয়ার পর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এরফানকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে র‌্যাবের কাছে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। পরে তাকে টেকনাফ থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।

শিশু ফারিহাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ফারহান। ছবি: নিউজবাংলা

শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে র‌্যাব-১৫ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সৈয়দ সাদিকুল হক জানান, শিশু ফারিহাকে হত্যার পর ঘটনা ধামাচাপা দিতে পরিবারের কাছে কয়েক দফা ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে সুচতুর এরফান। হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে রাতভর সে মাদ্রাসাতেই অবস্থান করে। এরফানের পিতা মাদ্রাসাটির ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত। মূলত পিতার কক্ষে নিয়েই শিশুটির ওপর বর্বরতা চালায় এরফান।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে ফারিহাকে অপহরণের অভিযোগ করে পরিবার। তারপর থেকে থানা পুলিশ ও র‌্যাব-১৫ এর সদস্যরা কাজ শুরু করেন। মরদেহ উদ্ধারের পর হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসে।

টেকনাফ থানার ওসি জুবাইর সৈয়দ বলেন, ‘ফারহানকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার বর্ণনা দিয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়েছে। মরদেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।’

ফারিহার নানা এনামুল হক মঞ্জুর বলেন, ‘একটি মাদ্রাসায় এমন নৃশঙস ও বর্বর ঘটনা ঘটবে তা মেনে নিতে পারছি না। এখানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেরও দায়িত্বহীনতা রয়েছে। আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। আমরা এই ঘাতকের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাড়ির সামনে রাস্তা থেকে ফারিহাকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। শিশুটি টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম সিকদার পাড়ার সানা উল্লাহর মেয়ে এবং হ্নীলা দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।

এ বিভাগের আরো খবর