বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকার প্রবেশপথে সংঘাত-সংঘর্ষের শঙ্কা, সতর্ক পুলিশ

  • এস এম নূরুজ্জামান, ঢাকা   
  • ২৮ জুলাই, ২০২৩ ২২:২৪

বিএনপি শনিবার সকাল ১১টা থেকে রাজধানীর প্রবেশ পথগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আর তা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজধানীর প্রবেশ পথগুলো ঘিরে সংঘাত-সংঘর্ষের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

রাজধানী ঢাকার প্রবেশ পথগুলোতে শনিবার সকাল থেকে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চও একই ঘোষণা দিয়েছে।

শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপি আয়োজিত মহাসমাবেশে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণার পরপরই পাল্টা ঘোষণা এসেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।

বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন আয়োজিত সমাবেশে ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন- বিএনপি রাস্তা বন্ধ করলে আওয়ামী লীগ তাদেরই রাস্তা বন্ধ করে দেবে।

যুবলীগের পক্ষ থেকে শুক্রবার রাতে ঘোষণা দেয়া হয়েছে- রাজধানী ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সব প্রবেশমুখে শনিবার শান্তি সমাবেশ করা হবে। সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাদের সমাবেশ চলবে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শনিবার রাজধানীর প্রবেশ পথগুলোকে ঘিরে সংঘাত-সংঘর্ষের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও রয়েছে সতর্ক অবস্থায়। ইতোমধ্যে রাজধানী জুড়ে টহল, চেকপোস্ট, তল্লাশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।

দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হবে বলে প্রত্যাশা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। তবে সড়ক অবরোধ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। শুক্রবার রাতে তিনি বলেন, ‘আমরা কাউকে পথ আটকাতে দেবো না। কেউ সেই চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবো।’

ডিএমপির একাধিক কর্মকর্তা জানান, মিরপুর, তেজগাঁও, লালবাগ, ওয়ারী, উত্তরা বিভাগের পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সদস্যরা কর্মসূচি ঘিরে মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি র‍্যাব ও আনসার সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। তৎপর থাকবেন গোয়েন্দারাও।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএমপি মিরপুর বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, গত কয়েকদিন ধরে চেকপোস্ট, টহল ও তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। তা অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপি মিডিয়া শাখার উপকমিশনার ফারুক হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, জনগণের জানমালের রক্ষার্থে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে পুলিশ। কেউ বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা আশা করি, রাজনৈতিক দলগুলো আজকের মতো শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করবে।

গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সমাবেশ শেষে ফেরার পথে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুটি গ্রুপ। এটি সমাবেশস্থলের বাইরের ঘটনা। আমরা তদন্ত করছি।’

ঢাকায় প্রবেশ ও প্রস্থানে যানবাহন, যাত্রী, পথচারীদের যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটার পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন।

নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণার পর বিবদমান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় রাজধানীর প্রবেশ পথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে সংঘাতের উস্কানি হিসেবে দেখছেন অনেকে।

নয়াপল্টনে শুক্রবার বিএনপি আয়োজিত সমাবেশস্থলে উপস্থিত একাধিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা রাজধানীর প্রবেশ পথগুলোতে শনিবারের কর্মসূচি ঘিরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির শঙ্কা প্রকাশ করেন।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকা কী হতে পারে- এমন প্রশ্নে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘রাজধানীর প্রবেশপথে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ সদস্যদের আগে থেকেই সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

ঢাকার প্রবেশপথগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সাভার-আমিনবাজার-গাবতলী, আবদুল্লাহপুর ও টঙ্গী, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও কাঁচপুর, সায়েদাবাদ এবং কেরানীগঞ্জ। এসব প্রবেশপথে যানজট তৈরিসহ সরকার সমর্থিত বিভিন্ন সংগঠন ও বিরোধী দলের সামনাসামনি অবস্থান ও সংঘর্ষের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা।

সেক্ষেত্রে জেলা পুলিশের ভূমিকা কী হবে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া সেন্টারের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এআইজি মিডিয়ার ফোন রিসিভ করে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্যার বদলি হয়ে গেছেন।’

প্রাসঙ্গিক বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে নিজের অপারগতার কথা জানান তিনি।

ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যেকোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে পারে। তবে কর্মসূচির নামে কেউ জনগণের জান-মালের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। সেই মোতাবেক ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পুরোপুরি প্রস্তুতি রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর