নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় ২৫ বছর বয়সী এক গৃহবধূকে হত্যা করে তার মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে গৃহবধূর স্বামী ও দেবরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ৩২ বছর বয়সী স্বামী মাকলুকাত মিয়া ও ২৪ বছর বয়সী দেবর মোজাহিদ মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের গগডা ভূঁইয়াপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বিদেশ থেকে এসে আট মাস আগে একই উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের কীর্তনখোলা গ্রামের মতিউর রহমানের মেয়ে শাপলা আক্তারকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন মাকলুকাত মিয়া। কিন্তু বউ পছন্দ না হওয়ায় বিয়ে পর থেকে তাকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন তিনি।
হত্যার বিষয়ে শাপলার ছোটভাই শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার বোনকে নির্যাতন করে আসছিল।এবার ঈদের আগে দুলাভাইয়ের ভাগ্নে সোনার গয়না চুরি করে নিয়ে যায়। গয়নাগুলো না দেয়ায় এ নিয়ে অশান্তি আরও বেড়ে যায়। এ ঘটনার পর আমার বোনকে হত্যা করে মরদেহে আগুন ধরিয়ে দিয়ে দুলাভাই আমাকে ফোন করে বলেন- শাপলা অসুস্থ, সে গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্নহত্যা করেছে। আমি যেন দ্রুত আসি।’
এ হত্যাকাণ্ডের বিচার ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তিনি।
কেন্দুয়া থানার ওসি আলী হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক ধারণা, শাপলা আক্তারকে শক্ত কোনো কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। পরে মরদেহে আগুন ধরিয়ে দিয়ে নাটক তৈরি করেছে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে গৃহবধূর স্বামী ও দেবরকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে। তাছাড়া ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপালে পাঠানো হয়েছে।’