রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশে আসা জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সমাবেশ চলাকালে বিকেল সোয়া ৪টায় নয়াপল্টনে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালের সামনে এই সংঘর্ষ হয়।
এ ঘটনায় ৪ থেকে ৫ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন মাদারগঞ্জ উপজেলার বিএনপির সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু। ঘটনার পর তারা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
এ সময় মঞ্জুরুল ইসলামকে রক্তাক্ত হাত নিয়ে হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়।
প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়ার পর মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাবুল খানের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা বসে ছিলাম। ১৫-২০ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এই হামলায় আমাদের ৪-৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন। আমি মাথা রক্ষা করতে গেলে লাঠির আঘাতে আমার দুই হাত কেটে গেছে।’
কেন আপনার ওপর হামলা করল?- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগে থেকেই আমাদের বনিবনা ছিল না। আমাদের অন্যান্য কর্মীদের রক্ষা করতে গেলে আমার ওপর তারা চড়াও হয়।
বাবুল খান ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কি না- জানতে চাইলে মঞ্জু বলেন, ‘তিনি আগের ঘটনায় উপস্থিত ছিলেন। এর আগেও ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এ ঘটনায় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না।’
এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নিবেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তারা যদি মামলা করতে বলেন, তাহলে করব। তারা যেটা বলবেন সেটাই করব।’
সংঘর্ষের পরে এক পুলিশ সদস্যকে ঘটনাস্থল থেকে বেশকিছু লাঠিসোঁটা জব্দ করতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।’