রাজধানীতে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার আব্দুল্লাহপুর-টঙ্গী সড়কে সতর্ক অবস্থানে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে শুক্রবার সকাল থেকে তল্লাশি চৌকি বসায় পুলিশ। সমাবেশকে ঘিরে কোনো নাশকতা যেন না হয়, সে জন্য তৎপর ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী ব্রিজ এলাকা পর্যন্ত আটটি স্থানে তল্লাশি চৌকি বসায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। চৌকিগুলোতে সন্দেহভাজন কাউকে দেখামাত্রই তল্লাশি ও জেরা করে পুলিশ।
ওই সময় অন্তত ৩০ নেতা-কর্মীকে আটক করে উত্তরা পূর্ব থানায় নেয়া হয় বলে দাবি করে বিএনপি।
আটককৃতদের মধ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাম্প্রতিক নির্বাচনে বিএনপির স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সরকার শাহনুর ইসলামও রয়েছেন। টঙ্গী থেকে সমাবেশে যোগ দিতে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে রওনা হন তিনি। উত্তরার কুশল সেন্টারের সামনে পৌঁছালে তল্লাশি চৌকিতে নেতা-কর্মীসহ আটক হন শাহনুর।
উত্তরা পূর্ব থানার ওসি কাজী নাসির উদ্দিন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘সন্দেহভাজনদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।’
সকাল থেকেই অন্য দিনের চেয়ে সড়কে দূরপাল্লার যানবাহন ও গণপরিবহন তুলনামূলক কম দেখা যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
আব্দুল্লাহপুর তল্লাশি চৌকিতে সকাল ৯টার দিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ১৫ থেকে ২০ পুলিশ সদস্যকে। ওই সময় যাত্রীবাহী বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা মোটরসাইকেল তল্লাশি করা হয়।
সকালের দিকে সড়কে তল্লাশি কড়াকড়ি থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢিলেঢালা ভাব দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে। দুপুর ১২টার দিকে তল্লাশি চৌকিগুলোতে তল্লাশি বন্ধ করে দেয়া হয়। সাড়ে ১২টার দিকে অধিকাংশ তল্লাশি চৌকি থেকে সরিয়ে নেয়া হয় পুলিশ সদস্যদের। ওই সময় সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
সমাবেশে যোগ দিতে গিয়ে আব্দুল্লাহপুর চেকপোস্টে পুলিশি তল্লাশির মুখে পড়েন গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি পিংকু পাটোয়ারি।
তিনি জানান, পুলিশ তাকে বাস থেকে নামিয়ে তল্লাশি করেন। পরে তার মুঠোফোন ঘেঁটে দেখেন।
পিংকু পাটোয়ারি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে অংশ নিতে ঢাকায় যাচ্ছিলাম। আগে থেকেই জানতাম তল্লাশি চৌকিতে জেরার মুখে পড়তে হবে। তাই মুঠেফোন পরিবর্তন করে কর্মসূচিতে যোগ দিতে বেরিয়েছি।’
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার মাহবুব উজ জামান বলেন, ‘এটা আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম। কেউ যাতে নাশকতা করতে না পারে, সে লক্ষ্যে এ তৎপরতা।’