নানা ঘটনার পর রাজধানীতে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন ও বিএনপির বড় ধরনের সমাবেশ হতে যাচ্ছে শুক্রবার। একই দিন গণতন্ত্র মঞ্চসহ আরও কয়েকটি দল ঢাকায় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে।
দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের কাছাকাছি স্থান ও সময়ে এই পাল্টাপাল্টি সমাবেশ আয়োজনের প্রভাব পড়েছে নগরের জনজীবনে। তৈরি হয়েছে এক ধরনের রাজনৈতিক উত্তেজনা। জনমনে বিরাজ করছে উদ্বেগ, আতঙ্ক।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঢাকার ব্যস্ততম সড়কগুলো ফাঁকা দেখা গেছে। গণপরিবহন চলাচল কমেছে, যাত্রীর সংখ্যাও অন্যদিনের তুলনায় কম। আর জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষ যানবাহন সংকটে ভোগান্তিতে পড়েছেন।
শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীর রাজপথ একেবারেই ফাঁকা। সকালে অনেকের চাকরির পরিক্ষা ছিল। এই পরীক্ষা দিতে এসেও বিপদে পড়েছেন তারা। বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে অবশেষে হেঁটেই বাসায় ফিরছেন অনেকে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আসাদগেট, মানিক মিয়া এভিনিউ, শ্যামলী, ধানমন্ডি, ফার্মগেট, বাংলামোটর, শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাবসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
আসাদ গেট এলাকায় কথা হয় মো. রুবেলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এলজিআরডি পরীক্ষা ছিল আজকে। মোহাম্মদপুর সরকারি মহিলা কলেজে সিট পড়েছিল আমার। সেখান থেকে আসাদ গেট এসে ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে আছে। বাস নাই। মাঝে মাঝে দুই একটা বাস আসলেও ভরে আসে। উঠার কোনো যায়গা নাই। এখন ভাবতেছি হেটেই বাড্ডা যাব।’
অনেকে আবার আসাদ গেট থেকে ফার্মগেট হেটে এসেছেন বাস পাওয়ার আসায়। তাদের একজন মো. জুবায়ের বলেন, ‘ধানমন্ডি কলেজে সিট পড়েছিল পরীক্ষার। ওখান থেকে আসাদ গেট রিকশায় আসলাম। এর পর বাস না পেয়ে ফার্মগেট হেটে এসেছি। এখনো প্রায় ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে আছি বাস নাই।’