বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফল নিয়ে সন্তানকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করবেন না: প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৮ জুলাই, ২০২৩ ১২:৩৮

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিনা মূল্যে পাঠ্যবই দিচ্ছি। করোনার সময়ও সঠিক সময়ে পাঠ্যবই তুলে দেয়া হয়েছে। কোভিড-১৯ ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে সারা বিশ্বে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে। এটা শুধু আমাদের দেশে নয়, ইউরোপ-আমেরিকায়ও একই অবস্থা। তার মধ্যেও আমরা বিনা মূল্যে বই বিতরণ করেছি।’

অন্যের সন্তানের সঙ্গে নিজ সন্তানের ফলের তুলনা না করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গণভবনে শুক্রবার সকালে এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘অভিভাবকদের বলব ছেলে-মেয়েরা ফেল করেছে বলে বকাবকি করবেন না কখনও। তাদের আরও আদর দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করান।

‘অমুকের ছেলে ভালো রেজাল্ট করল আর তুমি পারলা না কেন, এই তুলনাটা যেন না করেন। এটা করা ঠিক না।’

তিনি বলেন, ‘সম্পদের মধ্যে একটাই সম্পদ শিক্ষা, যেটা কেউ কখনও কেড়ে নিতে পারবে না, যেটা সবসময় প্রয়োজন।’

ওই সময় শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী হয়ে ওঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

অভিভাবকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অকৃতকার্যদের বকাবকি না করে তাদের পড়াশোনায় মনোযোগী করতে উদ্যোগ নিতে হবে। শিক্ষকদের বলব, তাদের প্রতি আরও মনোযোগী হন, ভবিষ্যতে যেন তারা কৃতকার্য হয়।’

সন্তানের খোঁজ রাখার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অভিভাবকদের বলব, ছেলে-মেয়েদের দিকে আরও বেশি নজর দিতে।’

চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ কী, তা ভেবে দেখার জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৩ সালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনের ২০ লাখ ৭৮ হাজার ২১৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ১০ লাখ ২৪ হাজার ৯৮০, যা ৪৯.৩২ শতাংশ। ছাত্রীর সংখ্যা ১০ লাখ ৫৩ হাজার ২৪৬, যা ৫০.৬৮ শতাংশ। ছেলের সংখ্যা কেন কমে যাচ্ছে, ভেবে দেখা দরকার।

‘এরা কি স্কুলে যাচ্ছে না? পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কেন কমে গেল? আমার মনে হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তা ভালোভাবে দেখা দরকার।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বিনা মূল্যে পাঠ্যবই দিচ্ছি। করোনার সময়ও সঠিক সময়ে পাঠ্যবই তুলে দেয়া হয়েছে। কোভিড-১৯ ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে সারা বিশ্বে জিনিসের দাম বেড়েছে।

‘এটা শুধু আমাদের দেশে নয়, ইউরোপ-আমেরিকায়ও একই অবস্থা। তার মধ্যেও আমরা বিনা মূল্যে বই বিতরণ করেছি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ডিজিটালি করা হয়েছে। এ জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এখন শিক্ষার্থীদের স্কুলে গিয়ে খবর নিতে হবে না, ঘরে বসেই ফলাফল পেয়ে যাচ্ছে।’

শিক্ষার মান উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন শিক্ষার মান আরও উন্নত করা। সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যাতে আমাদের ছেলে-মেয়েরা চলতে পারে, সে ব্যবস্থা নেয়া।’

দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এরাই তো হবে আগামী দিনে আমাদের ২০৪১-এর উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে মাথায় রেখে নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।’

আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামীতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ বিভাগের আরো খবর