রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার মেয়ে সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ।
বৃহস্পতিবার রাতে ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর তিনি সংবাদকর্মীদের কাছে এ প্রতিক্রিয়া জানান।
সেগুফতা বলেন, ‘১৭ বছর ৬ মাস! বাবাকে বাবা বলে ডাকতে পারি না, ছুঁয়ে দেখতে পারি না। এটা যে কী কষ্ট আমাদের ভাই-বোনদের বলে বোঝাতে পারব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা ড. এস তাহেরকে ২০০৬ সালে যে নির্মমভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করে বাসার পেছনের সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছিল। তার বিচার হলো, ন্যায়বিচার আমরা পেলাম। প্রথমেই আমি মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সকল আইনজীবী, যারা মামলাটি এগিয়ে নিতে সাহায্য করেছে, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস এবং তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে; প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে যারা নিঃস্বার্থভাবে সহায়তা করেছে। আমরা পরিবার হিসেবে অত্যন্ত একটা সাধারণ পরিবার। বাবাকে তো আর ফেরত পাব না। সবার কাছে দোয়া চাই।’
অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রাত ১০টা ১ মিনিটে ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।