বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অর্থ আত্মসাৎ: খুলনায় সিভিল সার্জনকে ওএসডি

  • প্রতিবেদক, খুলনা   
  • ২৭ জুলাই, ২০২৩ ২৩:৪১

ওএসডি করে তাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার চাকরি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে সরিয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে বদল করা হয়েছে।

করোনাকালীন কোভিড-১৯ পরীক্ষার ২ কোটি ৬১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা আত্মসাৎ মামলায় খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদকে ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউিটি) করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আলমগীর কবীর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে ওএসডি করা হয়।

এর আগে বুধবার দুপুরের দিকে ওই সিভিল সার্জনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে করোনা টেস্টের টাকা আত্মসাতের মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।

করোনা টেস্টের টাকা দুই সিভিল সার্জনের পকেটে

ওএসডি করে তাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার চাকরি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে সরিয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে বদল করা হয়েছে। আগামী ৫ দিনের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করলে তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. মো. সবিজুর রহমানকে খুলনার নতুন সিভিল সার্জন হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

দুদকের চার্জশিট থেকে জানা যায়,খুলনার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে (সদর হাসপাতাল) বিদেশগামী যাত্রী ও সাধারণ কোভিড-১৯ রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে প্রেরণ করা হতো। তবে ল্যাবে যে পরিমাণ টেস্টের নমুনা পাঠানো হতো, তার চেয়ে রোগীর সংখ্যা কম দেখিয়ে টেস্ট ফির টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হতো। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত মোট ফি আদায় করা হয় ৪ কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ১০০ টাকা। তবে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয় ১ কোটি ৬৮ লাখ ৪৬ হাজার ৭০০ টাকা। বাকি ২ কোটি ৬১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

পরস্পর যোগসাজশে সরকারি রসিদ বইয়ের বাইরে ডুপ্লিকেট রসিদ বই ব্যবহার করে তারা ওই টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে চার্জশিটে বলা হয়।

মামলার চার্জশীটে ৬ জনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন- মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) মো. রওশন আলী, ক্যাশিয়ার তপতী সরকার, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এস এম মুরাদ হোসেন এবং তৎকালীন দায়িত্ব পালন করা খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ ও সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ। ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বর্তমানে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এ বিভাগের আরো খবর