রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ভিড় জমিয়েছেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দেয়া শর্ত উপেক্ষা করে বিকেল থেকেই সেখানে জমায়েত হতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে।
শর্তসাপেক্ষে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে শুক্রবার তাদের আবেদন করা জায়গায় সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি। পুলিশ প্রশাসনের দেয়া ২৩ শর্তের মধ্যে ১৪ নম্বর শর্তটি হচ্ছে, মহাসমাবেশ শুরুর ২ ঘণ্টা আগে থেকে লোকজন সমাবেশস্থলে সমবেত হতে পারবে।
তবে বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিএমপির শর্তসাপেক্ষে অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
রাত সাড়ে ৮টায় সমাবেশস্থল ঘুরে দেখা যায়, নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে পুলিশ হাসপাতাল ক্রসিং পর্যন্ত বিএনপির নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ডভাবে জমায়েত হয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। তবে তখন পর্যন্ত বিএনপি কার্যালয়ের বিপরীত পাশের রাস্তা সচল থাকতে দেখা গেছে।
এছাড়া হোটেল ভিক্টোরির সামনে ও বিএনপি কার্যালয়ের পাশে পুলিশের অবস্থান দেখা গেছে। এর বাইরে পুলিশ হাসপাতাল ক্রসিং মোড় থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত কোনো পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি দেখা যায়নি। তবে বিএনপি কার্যালয়ের দু’পাশে দুটি এপিসি ও দুটি জলকামান অবস্থান নিয়ে আছে।
বিএনপি কার্যালয়ের পাশের চা বিক্রেতা মো. লাবলু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজকে সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। তাই গতকাল (বুধবার) রাতে অনেক নেতাকর্মীকে আশপাশের রাস্তায় শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। আজ (বৃহস্পতবার) বিকেল থেকে নেতাকর্মীরা আবার জমায়েত হতে শুরু করেছে।’
সমাবেশস্থলে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ ভূঁইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আশা করছি আগামীকাল (শুক্রবার) নয়াপল্টনের এই মহাসমাবেশে ২৫ থেকে ৩০ লাখ লোক হবে। আমরা আছি। কিছুক্ষণ পর চলে যাব। তখন আরেক গ্রুপ আসবে। তারা চলে গেলে আরেক গ্রুপ আসবে। এভাবে লোকের সমাগম সবসময় থাকবে এখানে। আর স্থায়ীভাবে কাল (শুক্রবার) দুপুর ১টায় দাঁড়াব আমরা।’
বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বড় ধরনের জমায়েতে দলের নেতাদের বক্তব্য দিতে দেখা যায়। কর্মীদের বিভিন্ন ধরনের দিকনির্দেশনাও দিচ্ছিলেন তারা।
এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনারা সবাই স্লোগান বন্ধ করুন। স্লোগান বন্ধ করে যে যার মতো ঘরে ফিরে যান। আগামীকাল (শুক্রবার) মহাসমাবেশে সবাই আসবেন।’
তবে তার কথায় সাড়া না দিয়ে নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন।
সার্বিক বিষয় জানার পর ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সমাবেশের মঞ্চ বানানোর জন্য লোকজন এসেছে। আমরা সরিয়ে দেব।’
সমাবেশেস্থলে হাজার হাজার মানুষ। সবাই মঞ্চ বানাবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এতো মানুষ সমাবেশস্থলে! আচ্ছা বিষয়টি দেখছি।’