বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে গিয়ে গ্রেপ্তার বাবার জামিন

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৭ জুলাই, ২০২৩ ২১:৪০

বুধবার ডেঙ্গু আক্রান্ত মেয়েকে ভর্তি না নেয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসকের সঙ্গে মারামারি হয়। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার হন হাবিবুর রহমান।

রাজধানীর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত মেয়েকে ভর্তি করাতে গিয়ে হাতাহাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার বাবা হাবিবুর রহমানের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।

বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি শেষে তার জামিনের আদেশ দেয় ঢাকার মহানগর হাকিম মো. আশেক ইমামের আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটকে রাখার আবেদন করেন।

এসআই আব্দুল মান্নান বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।’

মুগদা থানার ওসি আবদুল মজিদ নিউজবাংলাকে জানান, ‘হাতাহাতির ঘটনায় মুগদা হাসপাতালের চিকিৎসক বনি ইয়ামিন বাদী হয়ে বুধবার মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার হাবিবুরকে আদালতে পাঠানো হয়।’

ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক দিন আগে সাত বছর বয়সী আদিবার ডেঙ্গু ধরা পড়ে। হাসপাতালে বেড না পাওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে বাসায় রেখেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে বুধবার সকালে বাবা হাবিবুর রহমান তাকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগে গিয়ে দরজা বন্ধ পান তারা। তখন এক আয়ার কাছে মেয়ের অবস্থা জানিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার কথা বলেন।

এ বিষয়ে আদিবার মা সাথী বলেন, ‘নার্স ডাক্তারকে দেখাতে বললে আমরা গিয়ে দেখি ডাক্তারের রুম লক করা। নক করলে একজন ডাক্তার দরজা খোলেন। আমার স্বামী ওই ডাক্তারকে বলেন- স্যার, আমার বাচ্চা অনেক অসুস্থ; নিঃশ্বাস নিতে পারছে না। তাকে একটু দেখেন। এরপর ডাক্তার বলেন- এখান থেকে যান, সিট নাই। ডাক্তার আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।

‘একপর্যায়ে ডাক্তার আমার স্বামীকে চড় মারলে তিনি ওই চিকিৎসকের কলার ধরেন। পরে আরও কয়েকজন এসে আমাদের মারধর করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই ডাক্তার তার রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলে আমার স্বামী হাবিবুর রহমান দরজায় লাথি দেন। সে সময় তিনি (ডাক্তার) ৯৯৯-এ ফোন করেন। কিন্তু পুলিশ এসে আমার স্বামীকেই থানায় নিয়ে যায়।’

এ বিভাগের আরো খবর