বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা টেস্টের টাকা দুই সিভিল সার্জনের পকেটে

  • প্রতিবেদক, খুলনা   
  • ২৭ জুলাই, ২০২৩ ১৮:৪৮

পরস্পর যোগসাজশে ডুপ্লিকেট রসিদ বই ব্যবহার করে দুই সিভিল সার্জন ও তাদের সহযোগীরা ওই টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে মামলার চার্জশিটে বলা হয়েছে।

করোনা টেস্টের টাকা আত্মসাৎ মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে বের হয়ে এসেছে থলের বিড়াল। করোনাকালীন কোভিড-১৯ পরীক্ষার ২ কোটি ৬১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন খুলনার দুই সিভিল সার্জন। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ওই টাকা আত্মসাৎ করেছেন তারা।

বুধবার তদন্তের চার্জশিট দাখিল করেছেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তারা। দুদক খুলনার সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন উপ-সহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন খুলনা কার্যালয়ের দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ।

২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর দুদকের খুলনার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান মামলাটি করেন। ওই মামলায় শুধুমাত্র খুলনা জেনারেল হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) প্রকাশ কুমার দাসকে আসামি করা হয়।

তবে মামলার চার্জশিটে প্রকাশ কুমার দাসসহ আরও ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) মো. রওশন আলী, ক্যাশিয়ার তপতী সরকার, আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. এস এম মুরাদ হোসেন এবং খুলনার তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ ও সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ।

ডা নিয়াজ মোহাম্মদ বর্তমানে গোপালগঞ্জে ও ডা. সুজাত আহমেদ খুলনার সিভিল সার্জন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, খুলনার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে (সদর হাসপাতাল) বিদেশগামী যাত্রী ও সাধারণ কোভিড-১৯ রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে প্রেরণ করা হতো। তবে ল্যাবে যে পরিমাণ টেস্টের নমুনা পাঠানো হতো, তার চেয়ে রোগীর সংখ্যা কম দেখিয়ে টেস্ট ফির টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হতো। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত মোট ফি আদায় করা হয় ৪ কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ১০০ টাকা। তবে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয় ১ কোটি ৬৮ লাখ ৪৬ হাজার ৭০০ টাকা। বাকি ২ কোটি ৬১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

পরস্পর যোগসাজশে সরকারি রসিদ বইয়ের বাইরে ডুপ্লিকেট রসিদ বই ব্যবহার করে তারা ওই টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে চার্জশিটে বলা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর