বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) শাখার সভাপতি জাহিদ হাসান ছাড়া বাকি সব সদস্য পদত্যাগ করেছেন।
শাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ আল গালিব বৃহস্পতিবার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সাত সদস্যের কমিটির ছয়জনই পদত্যাগ করেছেন বলে জানান তিনি।
শাবির ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, ‘২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যাত্রা শুরু হয়। আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল স্বাধীন ও স্বতন্ত্রভাবে লেজুড়বৃত্তিহীন রাজনীতি করব। সেই জায়গা থেকে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে আমাদের পথচলা। ২১ জুন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একটি বিবৃতি দেয়, যেখানে একটা রাজনৈতিক সংগঠনের লেজুড়বৃত্তির কথা স্বীকার করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ অনুযায়ী কোনো ছাত্র সংগঠন কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে একসঙ্গে চলতে পারে না। সেই জায়গা থেকে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ব্যাখ্যা দিতে বললে তারা ব্যর্থ হন এবং তারা যা করছেন সেটা অব্যাহত রাখবেন বলে জানান।
‘আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তাদের জন্য স্বাধীনভাবে কাজ করার। তাই সংগঠন আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থেকে সরে যাওয়ায় আমরা এ সংগঠন করার প্রয়োজন মনে করছি না। তাই আমরা সংগঠন থেকে পদত্যাগ করেছি।’
এদিকে সভাপতি জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করিনি। আমি কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যক্রম আরও কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করব। তারপর সিদ্ধান্ত নেব।’
সম্প্রতি গণঅধিকার পরিষদে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। দলের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব নুরুল হক নুরের বিবাদে পাল্টাপাল্টি অপসারণের ঘোষণা আসে। যেখানে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল নুরুল হকের পক্ষ নেন।