চট্টগ্রামের জোররাগঞ্জে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হওয়া কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় দুই যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সে সঙ্গে দুজনকে ৩ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। দণ্ডের অর্থ অনাদায়ে আরও তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার বিকেল চারটার দিকে এই দণ্ডাদেশ দেন জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৭-এর বিচারক ফেরদৌস আরা।
দণ্ডিতরা হলেন- জোরারগঞ্জ থানার করের হাট ইউনিয়নের ছত্তরুয়া এলাকার ৩০ বছর বয়সী কামরুল হোসেন এবং একই এলাকার ২৯ বছর বয়সী মো. রাসেল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কফিল উদ্দিন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ১৭ অক্টোবর রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীর মুখে কাপড় গুজে জোর করে অপহরণ করেন আসামিরা। বাড়ি থেকে ২০০ গজ দূরের নির্জন জঙ্গলে নিয়ে পালাক্রমে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন তারা। পর ভুক্তভোগীর স্বজন ও প্রতিবেশীরা খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে প্রায় দুইশ গজ দূরের ওই নির্জন জঙ্গল থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে তার সংজ্ঞা ফিরলে ঘটনা খুলে বলে ওই কিশোরী।
এ ঘটনার পরদিন কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে দু’জনকে আসমি করে জোরারগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি খন্দকার আরিফুল আলম বলেন, ‘ভুক্তভোগী কিশোরীর ভাইয়ের মামলার পর তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুরু হয়। যুক্তিতর্ক শেষে বুধবার বিকেলে রায় ঘোষণা করে আদালত।’
এসময় আসামি কামরুল আদালতে উপস্থিত থাকলেও অন্যজন পলাতক রয়েছে বলে জানান তিনি।