বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের সাজা বহাল রেখে হাইকোর্টে রায় প্রকাশ করা হয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ২৭৩ পৃষ্ঠাসংবলিত এই রায় প্রকাশ করা হয়। রায়ে টুকুর বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতের দেয়া দুটি ধারায় ৯ বছরের সাজা বহাল রাখা হয়েছে। রায়ের কপি প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
লিখিত রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেছে।
আদালত বলেছে, অর্থ ও সম্পদ গড়তে দেশে অনেক বৈধ ব্যবসা রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য পেশার মাধ্যমেও অর্থ ও সম্পত্তি অর্জন করা যায়। কিন্তু অর্থ উপার্জনে রাজনীতি কোনো পথ হতে পারে না। তাছাড়া রাজনীতিবিদরা যদি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে যান তাহলে সমাজে অন্ধকার নেমে আসে।
সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় ৪ কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার অবৈধ সম্পত্তি অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়।
এই মামলায় বিশেষ জজ আদালত দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬ (২) (ক) ধারায় দুই বছর ও ২৭ (১) ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে টুকু আপিল করলে ২০১১ সালের ১৫ জুন তাকে খালাস দেয় হাইকোর্ট। দুদক সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি খালাসের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে পুনঃশুনানির আদেশ দেয় আপিল বিভাগ।
এরপর এ মামলার পুনঃশুনানি নিয়ে ৩০ মে রায় ঘোষণা করে হাইকোর্ট।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন। আর ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর পক্ষে ছিলেন আজমালুল হোসেন কেসি ও মো. সাইফুল্লাহ মামুন।