শিশু-কিশোরদের শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য তাদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শিশু জরুরি তহবিল (ইউনিসেফ)।
বুধবার সকালে খুলনায় এ কর্মসূচির উদ্ভোধন করা হয়। ইউনিসেফ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ কর্মসূচি চালু করেছে।
দেশের গ্রাম ও শহর পর্যায়ে শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের আত্মরক্ষার কিছু মৌলিক দক্ষতার উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এ কর্মসূচির মাধ্যমে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) রিপোর্ট তুলে ধরে অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি শিশু বাড়িতে সহিংসতার শিকার হয়। প্রতি সপ্তাহে ২০টির বেশি শিশু চরম সহিংসতা ও নির্যাতনের কারণে মারা যাচ্ছে। জোরপূর্বক বাল্যবিবাহের ঘটনাও ঘটছে প্রতিদিন। সেজন্য কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ক্রীড়ানুরাগী মনোভাব গড়ে তোলা ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলো এ প্রকল্পের মূল এজেন্ডা।
ইউনিসেফ জানায়, শিশুদের শক্তিশালী করতে ৭০ হাজার কিশোরী ও ৩০ হাজার কিশোরকে আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো হবে। গ্রাম পর্যায়ের ২৫টি জেলা এবং দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনে শিশুদের এ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা প্রধান মনিরা হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশে শিশু ও নারীর ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চলে। বিশেষ করে মেয়ে শিশুদের উপর নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি। আমাদের এই প্রজেক্টের উদ্দেশ্য হচ্ছে নারী শিশুদের আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো, যার মাধ্যমে সে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে এবং আক্রমণকারীর হাত থেকে বেঁচে ফিরবে।
‘এর আওতায় আমরা ছেলেদেরকেও নিয়েছি। কারণ আমরা দেখি ছেলে শিশুরাও বড়দের দ্বারা নির্যাতিত হয়।’