বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিস্ফোরণের পর থেকে তাজিয়া মিছিলের নিরাপত্তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়: ডিএমপি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৬ জুলাই, ২০২৩ ১৪:১৭

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘২০১৫ সালে তাজিয়া মিছিলে এখানে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ যারা তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছিল। তারপর থেকে এই অনুষ্ঠানের নিরাপত্তাটাকে আমরা বিশেষ গুরুত্বসহকারে দেখি। যাতে পুনরায় কোনো জঙ্গি গোষ্ঠী এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে না পারে।’

২০১৫ সালে বোমা বিস্ফোরণের পর থেকে আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত তাজিয়া মিছিলের নিরাপত্তা গুরুত্বসহকারে দেখা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

বুধবার রাজধানীর লালবাগে ইমামবাড়ায় পবিত্র আশুরা উদযাপন ও তাজিয়া/শোক মিছিল উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আগামী ২৯ জুলাই পবিত্র আশুরা। সারা বিশ্বে মুসলিম সম্প্রদায় অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পবিত্র আশুরা বা ১০ই মহরম পালন করে থাকে। শিয়া সম্প্রদায় আশুরা উপলক্ষে সুন্নিদের থেকে আলাদা কিছু রীতি ও নিয়মকানুন তারা পালন করে। গত সাড়ে ৪০০ বছর ধরে শিয়া সম্প্রদায় এ ইমামবাড়া থেকে তাজিয়া মিছিল ও প্রার্থনাসহ অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে থাকে। মূল অনুষ্ঠানটি পালন করা হবে ২৯ জুলাই। প্রতিবারই শান্তিপূর্ণভাবে এ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালিত হয়।

‘কিন্তু ২০১৫ সালে তাজিয়া মিছিলে এখানে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ যারা তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছিল। তারপর থেকে এই অনুষ্ঠানের নিরাপত্তাটাকে আমরা বিশেষ গুরুত্বসহকারে দেখি। যাতে পুনরায় কোনো জঙ্গি গোষ্ঠী এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে না পারে।’

তিনি আরও বলেন, আমরা এখানে ঘুরে ঘুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখলাম। ইমামবাড়া এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে এসেছি। রাস্তাগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। এই এলাকার সামনে-পেছনে সাদা পোশাক ও পোশাক পরিহিত পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবে। এই পুরো এলাকাটা আমরা ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করাবো। এ ছাড়া মেশিনের সাহায্যে ম্যানুয়াল সুইপিং করাবো, যাতে পুনরায় কোনো দুষ্কৃতিকারী এখানে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটাতে পারে।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আগামী ১০ই মহরম উপলক্ষে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বিভাগ সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। আশা করি আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ জুলাই অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালিত হবে। এক্ষেত্রে আয়োজকদের প্রতি আমাদের কিছু পরামর্শ আছে।

‘তাজিয়া মিছিলে যেন উচ্চস্বরে ডাক-ঢোল না বাজানো হয়, গায়ে চাদর ডেকে কোনো লোক যেন চলাফেরা না করে, শরীরের আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করা শিশুদের জন্য দৃষ্টিকটু এসব বিষয় এড়িয়ে চলা। আয়োজকদের সঙ্গে মিটিং করে এসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছি। উনারাও কিছু নিরাপত্তা পরামর্শ দিয়েছেন। সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করব।’

এ বিভাগের আরো খবর