রাজধানীর রামপুরার টিনশেড ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া দম্পতিকে বুধবার মৃত ঘোষণা করেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক।
ওই দম্পতির এক স্বজন জানান, পূর্ব রামপুরার তিতাস রোডের ঘরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় দুজনকে। ঢামেক হাসপাতালে আনার পর বুধবার ভোর ছয়টার দিকে তাদের মৃত বলে জানান চিকিৎসক।
ওই দুজন হলেন ২৮ বছর বয়সী মো. জুয়েল ও তার ২২ বছর বয়সী স্ত্রী নাসরিন আক্তার। তাদের মধ্যে জুয়েলের বাড়ি কুড়িগ্রাম। আর নাসরিনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের নিকলীতে।
স্ত্রীকে নিয়ে পূর্ব রামপুরায় ভাড়া করা বাসায় থাকতেন জুয়েল। নাসরিন অন্যের বাসাবাড়িতে কাজ করতেন। জুয়েল বেকার ছিলেন।
নাসরিনের বড় ভাই টিটু মিয়া বলেন, ‘ঘটনার দিন রাত ১টার দিকে কাজ শেষে বাড়ি ফিরে জানতে পারি, দুপুরের পর নাসরিন ও জুয়েল তাদের রুম থেকে আর বের হয়নি। তখন আমি দরজা ধাক্কা দিই। কোনো সাড়া না পেয়ে বিষয়টি বাড়িওয়ালাকে জানালে তিনি দরজা খুলে দেন।
‘ভেতরে গিয়ে দেখি ফ্যানের সঙ্গে দুইটি ওড়না বেঁধে আমার বোন ও ভগ্নিপতি গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। এরপর আমরা তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই।’
তিনি জানান, জুয়েল ও নাসরিনের বিয়ে হয় সাড়ে তিন বছর আগে। তাদের একটি সন্তান হয়ে কিছুদিন পর মারা যায়। গত আট থেকে ১০ দিন ধরে তারা পূর্ব রামপুরার তিতাস রোডে ভাড়া বাসায় থাকছেন। এক সপ্তাহ আগে নাসরিনের জ্বর হয়েছিল।
কাজকর্ম না থাকায় ভগ্নিপতি জুয়েল হতাশায় ভুগছিলেন বলেও জানান টিটু।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ দুটি ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি রামপুরা থানাকে জানানো হয়েছে।