উচ্চ আদালতের চুড়ান্ত রায়ের একদিন পরই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দাবি করা ১২ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার টাকার বকেয়া কর পরিশোধ করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
কর পরিশোধের বিষয়টি মঙ্গলবার নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
একটি পে-অর্ডারের মাধ্যমে কর পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আরোপিত দানকর বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে (লিভ টু আপিল) নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আবেদন গত রোববার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আবেদনটি খারিজ করে দেন।
মামলা থেকে জানা যায়, ১৯৯০ সালের দানকর আইন অনুযায়ী ২০১১-২০১২ করবর্ষে মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা, ২০১২-২০১৩ করবর্ষে আট কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে এক কোটি ৬০ লাখ ২১ হাজার টাকা এবং ২০১৩-২০১৪ করবর্ষে সাত কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে এক কোটি ৫০ লাখ ২১ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ দেয় এনবিআর।
এরমধ্যে কিছু টাকা পরিশোধ করায় বাকি ১২ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার দাবি করে এনবিআর, যা মঙ্গলবার পরিশোধ করা হয়।
দানের বিপরীতে কর দাবি করে এনবিআরের এসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ড. ইউনূস। তার দাবি, আইন অনুযায়ী দানের বিপরীতে এনবিআর এ কর দাবি করতে পারে না।
এরপর ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর তার আবেদন খারিজ করে আদালত। এরপর ২০১৫ সালে হাইকোর্টে তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন তিনি।
মামলাগুলোর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দানকর দাবির নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে ২০১৫ সালে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
পরে রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে মৃত্যু ও পরিবারের সদস্যদের কল্যাণ চিন্তা করে নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত তিনটি ট্রাস্টে যে টাকা দান করেছেন, সেই দানের বিপরীতে এনবিআরের আরোপ করা দানকর বৈধ ঘোষণা করে গত ৩১ মে রায় দেন হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন ড. ইউনূস, সেটিও নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগ।