তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নেতারা নির্বাচন করতে আগ্রহী। কিন্তু দলের নেতৃত্ব থেকে সিদ্ধান্ত না দেয়ায় তারা তা পারছেন না। এটি বড় সংকট।
সচিবালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে প্রয়াত প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ও সাংবাদিক স. ম আলাউদ্দীন স্মরণে প্রকাশিত ‘দীপ্ত আলাউদ্দীন’ সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি ওই কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এখনও দেশে কোনো সংকট নেই, কিন্তু বিএনপির মধ্যে সংকট আছে। কারণ, বিএনপির নেতারা নির্বাচন করতে চান, কিন্তু মূল নেতৃত্বের কাছ থেকে নির্বাচন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পান না। এটি একটি বড় সংকট।’
বিএনপি নেতাদের ‘রাজনৈতিক সংকট সমাধানের কোনো পথ খোলা নাই’ বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ২০১৪ সালে সংকট তৈরির অপচেষ্টা করেছিল। ভেবেছিল সরকার তিন মাসের মধ্যে পড়ে যাবে, কিন্তু সেই সরকার পাঁচ বছর পূর্ণ করেছে। ২০১৮ সালেও তারা সংকট তৈরির অপচেষ্টা করেছিল। আবারও ভেবেছিল সরকার মনে হয় টিকবে না। বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকের কাছে নানা দেন-দরবার, দেশে-বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে তারা অনেক চেষ্টা করেছিল। তারা কিছুই করতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির মধ্যে ছোটখাটো বিস্ফোরণ এরই মধ্যে হয়েছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাদের দলীয় নেতা-কর্মীরা বারণ সত্ত্বেও অংশ নিয়েছেন, কেউ কেউ জয়লাভও করেছেন। তাদের আক্ষেপ আমরা পত্রপত্রিকা এবং টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছি। যদি আগামী সংসদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, দলের মধ্যে বড় বিস্ফোরণ হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।’
২৭ জুলাই বিএনপির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের সমাবেশ ডাকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি যে দিন সমাবেশ ডাকবে সেদিন ঢাকা শহরে আর কেউ সমাবেশ করতে পারবে না, এ নিয়ম তো নেই। বিএনপি যখন সমাবেশ ডাকে তখন মানুষ আতঙ্কে থাকে, সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগ বা এর সহযোগী সংগঠনের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের পাশে থাকা, বিশৃঙ্খলার বিষয়ে সতর্ক থাকা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কখনই সংঘাত চাই না। কারণ, আমরা সরকারে আছি। বরং বিএনপি সংঘাত তৈরির অজুহাত খুঁজছে। তারা যেহেতু অতীতে মানুষের সহায়-সম্পত্তি, পুলিশ, পথচারীর ওপর হামলা করেছে, গাড়ি-ঘোড়া ভাঙচুর করেছে, আগুন দিয়েছে, সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব মানুষের পাশে থাকা।’