প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এফএও-এর সদর দপ্তরে জাতিসংঘের খাদ্য ব্যবস্থা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহালের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কাঠমান্ডুকে পায়রা বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছেন।
নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন,“বাংলাদেশ ইতিমধ্যে নেপালের জন্য চালনা ও চট্টগ্রাম বন্দর খুলে দিয়েছে। নেপাল নবনির্মিত পায়রা বন্দরও ব্যবহার করতে পারে।”
এফএও-এর সদর দপ্তরে সদ্য খোলা বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে মোমেন সোমবার সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন। খবর বাসসের
মোমেন জানান, সংযোগ বাড়াতে বাংলাদেশ সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি সফলভাবে দেশ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীরও প্রশংসা করেন।
দাহাল বলেন, “আপনি (শেখ হাসিনা) আমাদের অঞ্চলের নেতা।”
তিনি আরও বলেন, নেপালে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের বিশাল সুযোগ রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, নেপাল থেকে ভারতের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রথম ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ বাণিজ্য শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশ আরও নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষ করে জলবিদ্যুৎ আমদানির পদক্ষেপ নেবে।
দাহাল উেেল্লখ করেন, নেপালের উল্লেখ সংখ্যক শিক্ষার্থী বাংলাদেশে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে।
ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম এবং ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান উপস্থিত ছিলেন।