রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি ড. মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসি মঙ্গলবার কার্যকর হতে পারে। এরই মধ্যে এ নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে রাজশাহী কারা কর্তৃপক্ষ।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির পরিবারের স্বজনদের আসামিদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ডাকা হয়েছে। আসামি জাহাঙ্গীর আলমের ছোট ভাই মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘কারা কর্তৃপক্ষ রোববার আমাদের চিঠি দিয়েছে। রিট স্থগিত থাকায় আমরা তখন দেখা করিনি। রিট নিষ্পত্তি হওয়ার পর আজ আমরা দেখা করতে এসেছি। আমাদের পরিবারের প্রায় ৩৫ জন দেখা করতে এসেছেন।’
কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতেই অধ্যাপক এস তাহের হত্যা মামলার আসামিদের ফাঁসি কার্যকর করা হতে পারে।
ফাঁসি কার্যকর করতে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কারাগারে রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহম্মেদ, সিভিল সার্জন আবু সাঈদ মো. ফারুক, ডিআইজি প্রিজন কামাল হোসেনসহ কারাগারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভা করেন। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ।
এস তাহের হত্যা মামলায় চূড়ান্ত রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসি ঠেকাতে করা আবেদন মঙ্গলবার খারিজ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন রাবির ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের। নিখোঁজের দুই দিনের মাথায় ৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসার বাইরে ম্যানহোলে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
মরদেহ উদ্ধারের পরের দিন ড. তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভী মতিহার থানায় মামলা করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন উপপরিদর্শক আচানুল কবির ২০০৭ সালের ১৮ মার্চ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।