বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাবি শিক্ষক তাহের হত্যার দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে বাধা নেই

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৫ জুলাই, ২০২৩ ১০:৫৪

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এ আদেশের পর কারা কর্তৃপক্ষ দণ্ডাদেশ পাওয়া দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় চূড়ান্ত রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসি ঠেকাতে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এ আদেশের পর কারা কর্তৃপক্ষ দণ্ডাদেশ পাওয়া দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

এ মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীরের আটকের বৈধতা চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টের রিট করা হয়। হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপর তারা আপিলে আবেদন করেন, আপিল বিভাগও মঙ্গলবার সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সমরেন্দ্রনাথ গোস্বামী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন রাবির ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের। নিখোঁজের দুই দিনের মাথায় ৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসার বাইরে ম্যানহোলে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

মরদেহ উদ্ধারের পরদিন ড. তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভী মতিহার থানায় মামলা করেন। তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন উপপরিদর্শক আচানুল কবির ২০০৭ সালের ১৮ মার্চ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।

অভিযোগপত্রে তাহেরের বিভাগীয় সহকর্মী মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী, তাহেরের বাসভবনের তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর, জাহাঙ্গীরের ভাই ও ছাত্রশিবিরের কর্মী আবদুস সালাম, তাদের (জাহাঙ্গীর ও আবদুস সালাম) বাবা আজিমুদ্দীন ও সালামের আত্মীয় নাজমুলকে অভিযুক্ত করা হয়।

ড. তাহেরকে বাসায় হত্যা করে নর্দমায় মরদেহ ঢুকিয়ে রাখা হয় বলে পরবর্তীতে মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণে উঠে আসে।

এ মামলায় ৩৯ জনের সাক্ষ্য-জেরার পর ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল মিয়া মো. মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, আবদুস সালাম ও নাজমুলকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আর শিবির সভাপতি সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সীকে খালাস দেয়া হয়।

রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানির পর ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল রায় দেয় হাইকোর্ট। এ রায়ে মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে উচ্চ আদালত। আর সাজা কমিয়ে আবদুস সালাম ও নাজমুলকে দেয় যাবজ্জীবন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে আপিল বিভাগ। পরে সর্বোচ্চ আদালত আসামিদের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনও খারিজ করে। এর মধ্যে রাষ্ট্রপতির দপ্তরেও মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের প্রাণভিক্ষার আবেদনও নাকচ হয়।

এরপর কারা কর্তৃপক্ষ যখন ফাঁসির কার্যকরে উদ্যোগ গ্রহণ করে তখন হাইকোর্টে এক রিট আবেদন করলে আটকে যায় ফাসিঁ। সেই রিট খারিজ হলে ফের আসামি জাহাঙ্গীরের আটকাদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তার ভাই রিট আবেদন করে। এ রিটের প্রাথমিক শুনানির পর গত ১৭ জুলাই তা খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।

এ বিভাগের আরো খবর