বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে ‘পিটিয়ে ফেলে গেল বিএসএফ’

  • প্রতিনিধি, ‍মৌলভীবাজার    
  • ২৪ জুলাই, ২০২৩ ২২:১৬

বিজিবি জানায়, ২২ জুলাই ওই দুই ব্যক্তি চট্টগ্রামের রামগড় সীমান্ত হয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে আগরতলায় গিয়ে ট্রেনে ওঠার সময় সন্দেহ হলে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে। এরপর পুলিশ বিএসএফের কাছে তাদের হস্তান্তর করে। পরে বিএসএফ তাদের মারধর করে সীমান্তে ফেলে যায়।

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার কচুরগুল সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ফেলে রেখে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার সকাল ১০টার দিকে কচুরগুল সীমান্ত থেকে তাদের একজনকে উদ্ধার করা হয়। অন্যজনকে ১৮০১ মেইন পিলারে কাছে থেকে বিজিবির লাঠিটিলার দায়িত্বে থাকা ক্যাম্প কমান্ডারের নির্দেশে বেলা ১১টার দিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন।

বিজিবি জানায়, ২২ জুলাই ওই দুই ব্যক্তি চট্টগ্রামের রামগড় সীমান্ত হয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে আগরতলায় গিয়ে ট্রেনে ওঠার সময় সন্দেহ হলে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে। এরপর পুলিশ বিএসএফের কাছে তাদের হস্তান্তর করে। পরে বিএসএফ তাদের মারধর করে সীমান্তে ফেলে যায়।

জাহাঙ্গীর আলীর বাড়ি কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় এবং অন্যজন হৃদয় শেখ খুলনার বাসিন্দা।

জাহাঙ্গীর আলী মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার দক্ষিণ কচুরগুল এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে আসেন। সেখানে তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে আটক হয়ে জানান তার সঙ্গের একজনকে সীমান্তে নদীতে ফেলে রেখেছে বিএসএফ। পরে বিজিবি ও স্থানীয়রা গিয়ে হৃদয় নামের ছেলেটিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১৮০১ নং পিলারের পাশে নদী থেকে উদ্ধার করে।

স্থানীয় বাসিন্দা বাবুল মিয়া বলেন, ‘সকালে একজন অপরিচিত লোক কচুরগুল আসলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। তার পুরো শরীরজুড়ে আঘাতের চিহ্ন। তার মাধ্যমে আমরা আরেকজনের খবর পাই। তাদের শরীরে যে রকম আঘাত করা হয়েছে তা অবর্ণনীয়। মানুষ মানুষকে এভাবে আঘাত করতে পারে না।’

লাঠিটিলা বিওপির দায়িত্বে থাকা ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার গোলাম গাউছ বলেন, ‘সকালে স্থানীয়দের হাতে সীমান্তে অপরিচিত এক ব্যক্তি আটক হয়। পরে বিজিবি সেখানে উপস্থিত হয়ে আরেকজনকে উদ্ধার করে। দুই জনের শরীরে মারাত্মকভাবে জখমের দাগ রয়েছে। বিষয়টি আমরা বিজিবির ঊর্ধ্বতনদের জানিয়েছি। পরে তাদের আমরা পুলিশের হেফাজতে দিয়েছি।’

জুড়ী থানার ওসি মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘তাদের বিজিবি প্রহরায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অবস্থার উন্নতি হলে এজাহার নিয়ে বর্ডার অতিক্রম করার অভিযোগে মামলা করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর