বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হত্যাকাণ্ডের ২২ বছর পর ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

  • প্রতিবেদক, সিলেট   
  • ২৪ জুলাই, ২০২৩ ১৭:১৭

এ ছাড়া মামলাটিতে বাকি ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।

সিলেটের গোইয়ানঘাটে একটি হত্যা মামলার দীর্ঘ ২২ বছর পর ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। সে সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে সিলেটের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গোয়াইনঘাট উপজেলার ইটাচকি গ্রামের আব্দুর রব, একই গ্রামের ইদ্রিছ আলীর ছেলে আব্দুর রহমান, পার্শ্ববর্তী ইস্তি গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে রইছ আলী ও নুর মিয়ার ছেলে ফজল উদ্দিন।

এ ছাড়া মামলাটিতে বাকি ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত বলে জানিয়েছেন সিলেটের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. ফখরুল ইসলাম।

মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির সকলেই জামিনে ছিলেন। তবে আজ রায়ের তাদের পর কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়া মামলাটিতে মোট ১৫ আসামির ১০ জনকে খালাস দেয়া হয় এবং সাজিদুর হক নামের এক আসামি বিচার চলাকালে মৃত্যুবরণ করেন।’

মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, ২০০১ সালের ৮ আগস্ট সকাল সাড়ে ৬টায় সিলেটের গোয়াইনঘাটের ইস্তি গ্রামে খাল দখলকে কেন্দ্র করে হাত-পা বেঁধে দা দিয়ে কুপিয়ে জেলে তমজিদ আলীকে হত্যার পর তার মরদেহ হাওরে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী পেয়ারা বেগম ১৫ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০০২ সালের ২ মার্চ চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০৩ সালের ৫ নভেম্বর সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন সদর সার্কেল এএসপি সিদ্দিকী তানজিলুর রহমান।

মামলাটি জিআর আদালতে রেকর্ড করা হয়। ২০০৪ সালে এ আদালতে দায়রা ৩/২০০৪ মূলে রেকর্ড করে বিচার শুরু হয়। মামলায় দীর্ঘ শুনানিতে ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক সোমবার এ হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।

একইসঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর