বঙ্গোপসাগরে ইলিশের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৬৫ দিনের দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে মধ্যরাতে। তাই মাছ ধরতে সাগরে রওনা হচ্ছেন জেলেরা।
সোমবার ভোর থেকে সাগরে মাছ আহরণের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ ফিশিং ট্রলার নিয়ে এরই মধ্যে যাত্রা শুরু করেছেন উপকূলীয় বাগেরহাটের প্রায় ১৫ হাজার জেলে।
বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি বাজার, কচুয়ার উপজেলার বগা, শরণখোলার রায়েন্দা, রামপাল ও মোংলার বিভিন্ন স্থান থেকে মাছ ধরা সরঞ্জামসহ ফিশিং ট্রলারে করে সাগরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন এই জেলেরা।
সরকারি তথ্যানুযায়ী, বাগেরহাটে ১৩ হাজার জেলে সাগরে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আহরণ যাবেন। বাগেরহাটের ৯টি উপজেলায় ৩৯ হাজার ৬২৭ জন জেলে থাকলেও ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময়ে ৯ হাজার জেলেকে দুই ধাপে মোট ৫৬ কেজি করে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে সরকার।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম রাসেল বলেন, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সোমবার ভোর থেকে জেলেরা সাগরে মাছ আহরণ শুরু করবেন জেলেরা। সেজন্য উপকূলে পৌঁছে গেছেন বাগেরহাটের কয়েক হাজার জেলে।
‘বাগেরহাটে এবার সব মিলিয়ে প্রায় ১৩ হাজার জেলে সাগরে যাচ্ছেন। অবরোধ শেষে জেলেরা ভাল মাছ পাবেন বলে আশা করেন তিনি।’
বঙ্গেপসাগরে মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছ ধরার ওপর গত ২০ মে মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার।
এরই মধ্যে গত ২১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের মাছধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বন বিভাগ। সেই হিসেবে রোববার ভোর থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ আহরণ করতে পারলেও সুন্দরবনের মাছ আহরণে আরও এক মাস ৭ দিন অপেক্ষা করতে হবে জেলেদের।