বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জনগণ গ্রহণ করলে সেটাই বৈধ, সংবিধান দেখিয়ে লাভ নেই: জিএম কাদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৩ জুলাই, ২০২৩ ২০:০৫

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থা অবশ্যই সরকারের প্রভাবমুক্ত করতে হবে; যাতে নির্বাচনে সরকার কোনো প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। আমাদের দল অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। কীভাবে নির্বাচন হতে পারে, আমরা ফর্মুলা দিতে পারি, অন্যান্য উল্লেখযোগ্য দল থেকে ফর্মুলা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।’

নির্বাচন নিয়ে জনগণ যা গ্রহণ করে সেটিই বৈধ এবং এতে সংবিধানের দোহাই দিয়ে লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের)।

রাজধানীর বনানীতে দলীয় কার্যালয় মিলনায়তনে শতাধিক নেতা-কর্মীর জাতীয় পার্টিতে যোগদান অনুষ্ঠানে রোববার তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থা অবশ্যই সরকারের প্রভাবমুক্ত করতে হবে; যাতে নির্বাচনে সরকার কোনো প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। আমাদের দল অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। কীভাবে নির্বাচন হতে পারে, আমরা ফর্মুলা দিতে পারি, অন্যান্য উল্লেখযোগ্য দল থেকে ফর্মুলা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।’

জিএম কাদের বলেন, ‘যেটি জনগণের স্বার্থে এবং জনগণ মেনে নেয় তাতে আপত্তি করার কিছু নেই। আমরা জনগণের ভোটে জনগণের সরকার চাই। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা চাই আমরা।’

‘১৯৯১ সালে সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় পার্টি ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল। যদিও সেই নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হয়নি। ২০০৭ সালে বিএনপি নির্বাচনকে কলুষিত করতে চেয়েছিল। ওয়ান-ইলেভেন এসে যে সরকার গঠন হয়েছিল তাও সংবিধান অনুযায়ী হয়নি। তখন দুই বছর পর নির্বাচন হয়েছিল তাতেও সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে সংসদে এগুলো বৈধতা পেলেও দুই বছর পর যে নির্বাচন হলো তা এখনো বৈধতা পায়নি। আমরা মনে করি, জনগণ যেটি গ্রহণ করে সেটি অবশ্যই বৈধ, সেখানে সংবিধানের দোহাই দিয়ে লাভ নেই। যেটি জনগণের স্বার্থে এবং জনগণ মেনে নেয় তাতে আপত্তি করার কিছু নেই।’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা তছনছ করে রাজনৈতিক সংস্কৃতি ধংস করেছে। গণতান্ত্রিক ধারা ধংস করে কর্তৃত্ববাদী এক নায়কতন্ত্র চালু করেছে। আগামী নির্বাচনেও যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে আর রাজনীতি বা রাজনৈতিক দল থাকবে না। দেশ এক নেতার অধীনে চলে যাবে, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চিরস্থায়ী করা হবে।’

জিএম কাদের বলেন, ‘সরকার বলেছে, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। কিন্তু অন্যরা বলছে, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে বিশ্ববাসী দেখেছে দলীয় সরকারের অধীনে কেমন নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনে জনগণের কোন সম্পৃক্ততা ছিল না।’

ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনের পর নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলার মুখ সরকারের নেই দাবি করে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনে রাস্তায় নামলে নির্যাতন করা হচ্ছে। সরকার বিরোধীদের দমন করতে সব কিছুই করছে।’

আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে সব চেয়ে বেশি দুর্বল করেছে বলে অভিযোগ করেন কাদের। তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসাতে সমর্থন দিয়েছিল জাতীয় পার্টি। তারপর থেকে আওয়ামী লীগ সব সময় জাতীয় পার্টিতে বিভক্তি সৃষ্টি করে রেখেছে। ২০১৪ সালের পর থেকে জাতীয় পার্টির মধ্যে একটি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে। জাতীয় পার্টির স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড বিঘ্নিত করেছে আওয়ামী লীগ। এ কারণে, জাতীয় পার্টি অনেকটা দুর্বল হয়েছে। আমরা এই অবস্থা থেকে বের হতে চাই।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পার্টির মহাসচিব বীর মুজিবুল হক চুন্নু। টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুস সালাম চাকলাদারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন টাঙ্গাইল জেলা সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, যোগদানকারীদের মধ্যে সৈয়দ শামসুদ্দোহা জুবায়ের, আব্দুল আজিজ প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর