যানবাহনে শিশুদের জন্য সুরক্ষিত আসন ব্যবহার করলে শিশুদের ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ মৃত্যু কমানো যায়।
রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শ্যামলীতে ঢাকা আহছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টর আয়োজিত এক সভায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। নিরাপদ সড়ক জোরদার করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক এ সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রতিষ্ঠানটির রোড সেইফটি প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী শারমিন রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ‘৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ সড়ক দুর্ঘটনা। বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যুর অষ্টম বৃহত্তম কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট অফ রোড সেইফটি ২০১৮-এর তথ্য অনুসারে সারা বিশ্বে প্রতি বছর গড়ে ১০ লাখ ৩০ হাজার মানুষ সড়কে মারা যাচ্ছে এবং আহত হচ্ছে গড়ে ৫ কোটি মানুষ।’
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুসারে, যানবাহনে শিশুবান্ধব আসনের ব্যবহার শিশুদের সড়ক দুর্ঘটনায় আঘাতের ঝুঁকি ৭১-৮২ শতাংশ হ্রাস করে।
শারমিন রহমান বলেন, ‘গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর গেজেট আকারে প্রকাশিত বিধিমালায় শিশুযাত্রীর জন্য সিটবেল্ট বাঁধা সংক্রান্ত নির্দিষ্ট বিধান কর্তৃপক্ষ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জারির কথা বললেও শিশু আসনের বিষয়ে কোনো বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। নিরাপদ যাতায়াতের জন্য শিশুদের উপযোগী সুরক্ষিত আসন জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এ শিশুদের সুরক্ষিত আসন নিয়ে কোনো কিছু বলা নেই। কিন্তু আমাদের দেশের যানবাহনে শিশু আসন খুবই জরুরি। তাই শিশুদের জন্য বিশেষ আসন প্রচলনে আইন আবশ্যক।’
পাশাপাশি সড়ক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের ঘোষিত ‘সেইফ সিস্টেম এপ্রোচ’ অনুযায়ী আলাদা আইন প্রণয়নের দাবি করে ঢাকা আহছানিয়া মিশন।