বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তেওতা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সদস্যদের

  • প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ   
  • ২৩ জুলাই, ২০২৩ ১৭:৪৯

অভিযোগে বলা হয়, ‘চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর সরকারি প্রকল্পের কাজে স্বেচ্ছাচারিতা এবং দুর্নীতিসহ নানা অনিয়ম শুরু করেন মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন।’

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে তেওতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন সদস্যরা। ওই অভিযোগের তদন্ত চলছে।

স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম-দুর্নীতি এবং অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে ১৮ মে উপজেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন তারা। ২ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা রয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, ‘চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর সরকারি প্রকল্পের কাজে স্বেচ্ছাচারিতা এবং দুর্নীতিসহ নানা অনিয়ম শুরু করেন মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন। অসচ্ছল-দরিদ্র মানুষের ভিজিএফ, ভিজিডি, টিসিবি কার্ড ও মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড দেয়ার ক্ষেত্রেও তিনি অনিয়ম ও স্বজপ্রীতি করেছেন। প্রভাব খাটিয়ে নিজেদের লোকজনকে দিয়ে জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদপত্র, প্রত্যয়নপত্রের অতিরিক্ত ফি আদায় করেছেন।’

আরও বলা হয়, ‘খেয়াঘাট ইজারার নামে টাকা আাদয় করে সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ, ইউনিয়ন পরিষদের জমি লিজের নামে দরিদ্র ও নদী ভাঙ্গণে অসহায় মানুষের কাছ থেকে লাখো টাকা আত্মসাৎ করেছেন।’

খেয়াঘাটের মাঝি লিটন শেখ বলেন, ‘মোশারফ চেয়ারম্যান খেয়াঘাটের ইজারার জন্য গত বছর এক লাখ টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো কাগজপত্র দেন নাই। এবারও এক লাখ টাকা নিয়েছেন, এরও কোনো কাগজপত্র দেন নাই। খেয়াঘাটের কথা বলে একাধিক মানুষের কাছ থেকে টাকা নেন, পরে আমাদের মধ্যে ঝামেলা হয়।’

আলোচকিদয়া চরের রমজান শেখ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘরের কথা শুনে চেয়ারম্যানের কাছে গেলে ঘর দেয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা চান। পরে ৪০ হাজার টাকা দেই। কিন্তু এখন পর্যন্ত ঘর পাই নাই। চেয়ারম্যান টাকা ফেরতও দেন নাই।’

আলোকদিয়া চরের আরেক বাসিন্দা ইসহাক মিয়া বলেন, ‘মেয়েকে স্কুলে ভর্তির জন্য চেয়ারম্যানের কাছে জন্মনিবন্ধন আনতে গিয়েছিলাম। তখন জন্ম নিবন্ধনের জন্য চেয়ারম্যান দুই হাজার টাকা চান। টাকা দিতে না পারায় আমার মেয়ের জন্মনিবন্ধন দেননি। তাই মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করতে পারিনি।’

তেওতা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মাসুদ রানা বলেন, ‘ইউনিয়নের সব জায়গায় চেয়ারম্যানের অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাতসহ নানা বিষয়ে অভিযোগ আর সমালোচনা। চেয়ারম্যানের এসব কাজের কারণে সদস্যদের নিয়েও বাজে কথাবর্তা হয়। তা ছাড়া চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই স্বেচ্ছাচারিতা শুরু করেন। কোনো ধরনের আইনকানুন ছাড়াই তার ইচ্ছেমতো কাজ করে আসছেন। পরে সব সদস্যরা একত্রে আলোচনা করে সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষায় এবং জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য অনাস্থা এনে লিখিত অভিযোগ দেন।’

এ বিষয়ে তেওতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে তার দেখা পাওয়া যায়নি।

শিবালয় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও তদন্ত কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ৩০ মে বিষয়টি তদন্ত করতে চিঠি দেন। এরপর ৭ জুন চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শনোর নোটিশ করা হলে ১৯ জুন লিখিতভাবে জবাব দেন। ২ আগষ্ট তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।’

মানিকগঞ্জ স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক শাহিনা পারভীন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগের পর শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর