বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন পটুয়াখালী থানার দুই কর্মকর্তা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৩ জুলাই, ২০২৩ ১৪:৫৫

রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

জামিনে থাকার পরও এক কলেজশিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মিজানুর রহমান হাইকোর্টে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

পরে আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য সোমবার দিন ঠিক করে দেন।

রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

আদালতে ওই কলেজশিক্ষার্থীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আলী আহসান মোল্লা। দুই পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবু রেজা মো. কাইয়ুম খান, তার সঙ্গে ছিলেন শারমিনা হক। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

ওই কলেজশিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের সময় তার জামিনে থাকার বিষয়টি তার আইনজীবী পুলিশ সদস্যদের ফোন করে জানিয়েছিলেন এমন তথ্য জানালে তার কল রেকর্ড তলব করে আদালত। তবে আইনজীবী বিটিআরসির কাছে কল রেকর্ড চাইলে আদালতের আদেশ ছাড়া দেবে না বলে জানায়। তখন আদালত সোমবার আবার দিন ঠিক করে দেয়।

দুই পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষের আইনজীবী আবু রেজা মো. কাইয়ুম খান বলেন, ‘ওই কলেজশিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করার কোনো ইনটেশন ছিল না। তা ছাড়া সে সময় তারা আদালতের জামিন সংক্রান্ত কোনো ডকুমেন্টও দেখাতে পারেননি। তারপরও আমরা আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছি। আদালত সোমবার শুনানির জন্য দিন ঠিক করে দিয়েছে।’

আগাম জামিনে থাকার পরও কলেজশিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের ঘটনা নজরে এলে গত ২১ মে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেয়। আদেশে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মিজানুর রহমানকে তলব করা হয়।

জামিনে থাকার পরও উদ্দেশ্যমূলক গ্রেপ্তার করে দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।

এর আগে গত ১৮ জুন আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান ওসি মো. মনিরুজ্জামান এএসআই মিজানুর রহমান। কিন্তু আদালত আবেদন গ্রহণ না করে রোববার ফের তাদের আসতে বলে।

গত ২০ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘জামিন নেয়া শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার, আদালতে মুক্তি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন ২১ মে আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী আলী আহসান মোল্লা। তার প্রেক্ষিতেই ওসিসহ এএসআইকে তলব করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর