পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় বর্ষার মৌসুমেও পানির অভাবে পাট জাগ দেয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন মাাদরীপুরের চাষিরা।
জেলায় সময় হলেও কৃষকরা কাটছেন না পাট। খরার কারণে ক্ষেতের পাট শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ ডোবা-নালায় কিছু পরিমাণ পাট জাগ দিচ্ছেন।
কৃষক আনোয়ার ফরাজী বলেন, ‘আর পাট চাষ করমু না। এবার পানির দেখা নাই। ক্ষেতে পাট শুকায়া যাচ্ছে। কোথাও নেয়ার জায়গা নাই।
‘চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরে খাল। সেখানে নিতে আনতে যা দাম পাব, সবই শেষ হয়ে যাবে। এমন অবস্থা হলে আগামীতে পাট চাষের নামও নিমু না। এর চেয়ে জমি খালি রাখমু।’
কৃষক আবু তালেব বেপারী বলেন, ‘এবার সার, বীজের যে দাম, তাতে খরচ উঠবে না। পানির যে এমন অভাব হবে, তা বুঝি নাই। বর্ষার মৌসুম হলেও পানি নাই।
‘এভাবে পানি সংকটের কারণে পাট জমিতে রাখছি। পানি না এলে এভাবে ক্ষেতেই থাকবে।’
মাদারীপুর জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ১০ বছরে পাট চাষের জমি কমেছে অন্তত ১ হাজার হেক্টর।জেলার পাঁচটি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৩৫ হাজার ৮৮৬ হেক্টর জমি থেকে পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ৭৭ হাজার ৮২৪ টন।
মাদারীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সন্তোষ চন্দ্র বলেন, ‘আষাঢ় মাস শেষে শ্রাবণ মাসের অর্ধেক হলেও বৃষ্টির দেখা নেই। ফলে সঠিক সময়ে পাট জাগ দিতে না পারলে কিছুটা লোকসানে পড়বেন কৃষকরা।
‘তাই পাট জাগ দেয়ার জন্য বিভিন্ন উৎসের পানি ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছি। কৃষকদের বিকল্প পদ্ধতিতে পাট পচানোর বিষয়ে প্রশিক্ষণও দেয়া হচ্ছে।’