বাংলাদেশে মানবাধিকারকর্মীরা দুর্দশায় আছেন জানিয়ে গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)।
অধ্যাপক আলী রিয়াজের করা ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। যদিও অংশগ্রহণকারী মানবাধিকারকর্মীদের অভিজ্ঞতা ও সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে গবেষণার প্রকাশ অনুষ্ঠানে।
দেশের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন এমন ৫০ জন কর্মীর অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর চার মাসের গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করে সিজিএস। গবেষণার মূল দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
শনিবার গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করে তিনি বলেন, ‘দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে, যা আশঙ্কাজনক।’
ওই সময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার বারবার দেশে বিচার-বহির্ভূত হত্যা এবং বলপূর্বক গুমসহ মানবাধিকার সহিংসতার কথা অস্বীকার করেছে।’
আলী রীয়াজ বলেন, ‘ব্যক্তিগত মানবাধিকার কর্মকাণ্ড নিপীড়িত হচ্ছে, মানবাধিকার সংস্থাগুলোও হামলার শিকার হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া অন্য অতিথিরা সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা, বিচার-বহির্ভূত হত্যা, হেফাজতে হত্যা, গুমের মতো বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
ওই সময় বক্তব্য দেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্নাসহ আরও অনেকে।
তাদের ভাষ্য, রাজনীতিকরা দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে মনোনয়ন নিয়ে, রাজনীতি নিয়ে বাণিজ্য করছে। দেশ চালাচ্ছে পুলিশ। দেশ চলছে আমলাতন্ত্রের মাধ্যমে, তারা দেশের মানুষ নিয়ে ভাবে না।
তারা আরও বলেন, মানবাধিকারকর্মীদের চাপ শুধু বর্তমানে নয়, আরও ২০/২৫ বছর আগেও ছিল।
মানবাধিকার নিশ্চিত হওয়ার আইনি কাঠামো আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন। তিনি গবেষণায় যারা অংশ নিয়েছেন তাদের অভিজ্ঞতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে রাষ্ট্র, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অভিযোগ আছে।’
পরে এই গবেষণাপত্র নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আলী রীয়াজ জানান, এই গবেষণায় কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সাহায্য নেয়া হয়নি।
ওই সময় দেশের মানবাধিকার নিয়ে করা কিছু প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান তিনি।