বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলায় মায়ের ঘরের মেঝে খুঁড়ে মেয়ের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার চান্দারপাড়া গ্রামে শনিবার বেলা ৩টার দিকে মায়ের দেয়া তথ্যে মেয়ে মর্জিনা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের মা রওশনারা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিজেদের হেফাজতে রেখেছেন।
৩৪ বছরের মর্জিনা খাতুন ৩০ জুন রাত থেকে নিখোঁজ হন বলে জানা যায়। পর দিন সকালে ঘরে তালা দিয়ে নিরুদ্দেশ হন নিহতের মা, ছেলে ও ছেলের বউ।
ধুনট থানার ওসি রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মর্জিনা স্বামী পরিত্যক্ত ছিলেন। তার মাও বিধবা। এ জন্য সংসারে আর্থিক টানা পোড়নে সব সময় প্রায়ই ঝগড়া হতো তাদের মধ্যে। এ গণ্ডগোলের জের ধরে মর্জিনাকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, শনিবার সকালে নিহতের মা রওশনারা ঢাকা থেকে এসে নিজেই থানায় উপস্থিত হন। এসে তার মেয়ের মরেদেহ ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখার কথা বলেন। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘরের মেঝে থেকে মর্জিনার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তিনি নিজেই হত্যা করেছেন কি না এটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ, রওশনারা একবার বলছেন তার মেয়ে ফাঁস নিয়েছে। আরেকবার বলছেন গলা টিপে হত্যা করেছেন তিনি।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আমরা পুলিশ হেফাজতে নিয়েছি। মর্জিনার ছেলে ও ছেলের বউকে আটক করা হয়নি।’
মর্জিনার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।